পাহাড়ি শহর খাগড়াছড়িতে দিনে ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি

-মনিটর রিপোর্ট Date: 30 October, 2024
পাহাড়ি শহর খাগড়াছড়িতে দিনে ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি

খাগড়াছড়ি: সারা বছরই পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকে পাহাড়, ঝরনা, ঝিরি ও কৃত্রিম লেক সমৃদ্ধ বৈচিত্রময় পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি। চিরচেনা সেই দৃশ্য এখন নেই। পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে সুনসান নীরবতা। পাহাড়ে অস্থিরতা এবং সাম্প্রতিক সহিংসতায় এমন প্রভাব পড়েছে জেলার পর্যটন খাতে। এতে প্রতিদিন গড়ে ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত শারদীয় দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে ৪ দিনের ছুটি থাকলেও খাগড়াছড়ির হোটেল-মোটেলগুলোতে বুকিং ছিল না। 

খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের ইউনিট ব্যবস্থাপক উত্তম কুমার মজুমদার বলেন, আয় না থাকায় কর্মীদের বেতন দিতে পারছি না। লোকসানের মুখে পড়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, পাহাড়ে সহিংসতার পর ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে কোনো পর্যটক আসেনি। সাপ্তাহিক আর পূজার ছুটি মিলিয়ে ৪ দিনের বন্ধ ছিল। কাজেই যে সময় পর্যটন স্পটগুলো পর্যটকে মুখর থাকার কথা ছিল সে সময়  আমরা অলস সময় কাটিয়েছি।

গাইরিং হোটেলের স্বত্বাধিকারী এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা জানান, জেলা সদরে আবাসিক হোটেলের সংখ্যা প্রায় ৩৫। এর মধ্যে খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল সমিতির অন্তর্ভুক্ত ২৫টি। তার ভাষ্য, ‘পর্যটক না থাকায় হোটেল মালিকদের দৈনিক ক্ষতি অন্তত ২৫ লাখ টাকা। সেই হিসাবে এরই মধ্যে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুলাই মাসজুড়ে চলা ছাত্র-জনতার আন্দোলন, আগস্টে সরকার পতনকে কেন্দ্র করে প্রায় দুই মাস পাহাড়ে পর্যটনে ভাটা পড়েছিল। সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় পাহাড়ে পর্যটক সমাগমও বাড়ছিল। এরই মধ্যে ১৮ সেপ্টেম্বর মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে মামুন হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়িতে ‘পাহাড়ি-বাঙালি’ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এরপর সহিংসতা ও হামলার প্রতিবাদে ২১ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর তিন দিনের অবরোধের কারণে খাগড়াছড়ি ও সাজেকে পর্যটকরা আটকা পড়ে। ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে সাজেকে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

-B

Share this post



Also on Bangladesh Monitor