ঢাকাঃ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিমান চলাচল পুনরায় শুরু করার বিষয়ে ঢাকার প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে দিল্লি। ফলে প্রায় চার মাস পর পুনরায় দুদেশের মধ্যে চালু হতে পারে বাণিজ্যিক বিমান চলাচল। সব ঠিকঠাক থাকলে, দ্বিপাক্ষিক 'এয়ার বাবল' চুক্তির আওতায় চলতি সপ্তাহেই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত সপ্তাহে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ভারতের কাছে ফ্লাইট চলাচল শুরু করার প্রস্তাব দেয়। ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে অবশেষে সে প্রস্তাবে সায় দিয়েছে বলে জানাল মন্ত্রণালয়।
কবে থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে বাণিজ্যিক ফ্লাইট পুনরায় চালু করা সম্ভব, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর সাথে আলোচনা চালাচ্ছে।
দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরান বলেন, "আমাদের প্রস্তাব ছিল ১১ আগস্ট থেকে এয়ার বাবল চুক্তির অধীনে দুদেশের মদ্ধে বিমান চলাচল আবার শুরু করা।" "এখন দেখা যাক, ভারতীয় কর্তৃপক্ষর সঙ্গে আলোচনাক্রমে কোন তারিখটা চূড়ান্ত করা যায়।"
দিল্লিতে সরকারি সুত্র অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও ভারতের মদ্ধে খুব শীঘ্রই এবং চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ফ্লাইট শুরু করার জন্য জোরালো চেষ্টা চলছে।
ইতিমধ্যে যেসকল ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলো ঢাকা বা চট্টগ্রামে নিয়মিত ফ্লাইট চালাত, যেমন ভিস্তারা, স্পাইসজেট, ইন্ডিগো বা এয়ার ইন্ডিয়া, তাদের কাছেও জানতে চাওয়া হয়েছে কবে থেকে তারা বাংলাদেশে পুনরায় কার্যক্রম শুরু করতে পারবে।
গত বছর মার্চে করোনাভাইরাস অতিমারির ফলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০২০ সালের অক্টোবরের শেষদিকে এয়ার বাবল চুক্তির অধীনে দুদেশের মধ্যে নিয়মিত বিমান চলাচল পুনরায় আরম্ভ হয়। তবে ২০২১ সালের এপ্রিলে ভারতে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ আসার পর আবার বন্ধ হয়ে জায় দুদেশের মদ্ধে বিমান চলাচল।
ভারত থেকে করোনার ডেল্টা ভেরিয়েন্টের সংক্রমণ রোধে এবছর এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে দেশটির সাথে স্থলবন্দরগুলোও বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ।
বর্তমানে সেই নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে এবং ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের দূতাবাস থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে দেশে ফিরতে হচ্ছে।