মোংলা বন্দরে বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজের আগমন বেড়েছে 

- মনিটর রিপোর্ট  Date: 12 January, 2025
মোংলা বন্দরে বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজের আগমন বেড়েছে 

খুলনাঃ  সম্প্রতি দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মোংলায় বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজের আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন বছরের প্রথম ১০ দিনে বন্দরে মোট ২৮টি বাণিজ্যিক জাহাজ ভিড়েছে। এর ফলে বন্দরের শ্রমিক-কর্মকর্তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি ), রূপপুর পাওয়ার প্ল্যান্টের মালামাল নিয়ে দুটি কন্টেইনারবাহী জাহাজ মোংলা বন্দরে নোঙ্গর করে। বর্তমানে বন্দরের বিভিন্ন পয়েন্টে ১৮টি জাহাজ অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, বন্দর কর্তৃপক্ষের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, সাড়ে সাত মিটার গভীরতা এবং ১৪২.৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের বারমুডার পতাকাবাহী এমভি পাকান্ডা অ্যান্টিগা নামক একটি জাহাজ বন্দরের সাত নম্বর জেটিতে ভিড়েছে। জাহাজটিতে ১৯০টি টিউব কন্টেইনার রয়েছে।

এছাড়া ২০৭টি টিউব নিয়ে মার্কস ঢাকা নামে আরো একটি কন্টেইনারবাহী জাহাজ আট নম্বর জেটিতে ভেড়ার কথা রয়েছে। পানামার পতাকাবাহী এ জাহাজটি ১৮৬ মিটার বিশাল দীর্ঘ ও সাত দশমিক ১০ মিটার গভীর।

পাশাপাশি রাশিয়ার পতাকাবাহী এমভি মেলিনা নামের একটি জাহাজ রুপপুর পাওয়ার প্ল্যান্টের জেনারেল কার্গো (মেশিনারি) বন্দরের নয় নম্বর জেটিতে অবস্থান করছে।

এ বিষয়ে মোংলা বন্দরের উপপরিচালক মো: মাকরুজ্জামান জানান, ২০২৫ সালের শুরুতে মোংলা বন্দরে বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজের আগমন বেড়েছে। বর্তমানে বন্দরের পশুর চ্যানেলের বিভিন্ন স্থানে ১৮টি বাণিজ্যিক জাহাজ অবস্থান করছে। এসব জাহাজে কয়লা, সার (জিপসাম, ড্যাপ, টিএসপি ও এমওপি), ক্লিংকার, এলপিজি ও পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি থেকে আরো জানা যায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের প্রথম ৬ মাসে মোংলা বন্দর মোট ৪১৩টি বাণিজ্যিক জাহাজ আসে। এ সময়ে ১০ হাজার ৩৮৬টি টিউব কন্টেইনার খালাস করা হয়।

প্রথম ৬ মাসে গাড়ি বহনকারী ১০টি জাহাজ থেকে ৫ হাজার ৬৩৭টি গাড়ি আমদানি করা হয়েছে। এই সময়ে বন্দর দিয়ে সর্বমোট আমদানি-রফতানি হয়েছে ৫২ লাখ ৮৪ হাজার ৪৭১ টন পণ্য, যা থেকে ২১০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩-২০২৪-এ মোংলা বন্দরে বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজের আগমনের ক্ষেত্রে ২ দশমিক ৩০ শতাংশ, কার্গো ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ, কন্টেইনারবাহী জাহাজ ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং গাড়ির ক্ষেত্রে ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

-B

Share this post



Also on Bangladesh Monitor