চট্টগ্রাম: দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ইউরোপ ও আমেরিকায় কার্গো ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তবে এখনো ইডিএস (এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন সিস্টেম) স্ক্যানার না থাকায় এসব দেশে পণ্য পাঠাতে জটিলতার মুখে পড়ছেন রফতানিকারকরা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিয়ম অনুযায়ী এসব দেশে পণ্য পাঠাতে ইডিএস স্ক্যানার বাধ্যতামূলক।
বর্তমানে দেশে শুধু ঢাকার হযরত শাহজালাল ও সিলেট বিমানবন্দরে ইডিএস স্ক্যানার রয়েছে। চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে এটি এখনো স্থাপন না হলেও কর্তৃপক্ষ আগামী আগস্ট থেকে কার্গো ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ঢাকা বা সিলেট থেকে স্ক্যানার এনে সাময়িকভাবে কার্যক্রম চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর গনমাধ্যমকে জানান, “ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ হওয়ায় আত্মনির্ভরশীলতার সুযোগ তৈরি হয়েছে। সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। মন্ত্রণালয় থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। আমরা চীন, ইউরোপ ও আমেরিকায় পণ্য রফতানির লক্ষ্যে কাজ করছি। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইডিএস স্ক্যানার বসানো হচ্ছে।”
বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট খায়রুল আলম সুজন বলেন, “চট্টগ্রাম দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রফতানি অঞ্চল। এখান থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ সময়োপযোগী। তবে কার্গো হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বাড়াতে হবে এবং ইডিএস স্ক্যানার চালু করতে হবে।”
বিমানবন্দরের কার্গো শেডে বর্তমানে ২৫০ টন আমদানি ও ২০ টন রফতানি পণ্য ধারণক্ষমতা রয়েছে। ২০২২ সাল থেকে কার্গো ফ্লাইট বন্ধ থাকলেও সম্প্রতি কার্গো স্টেশন সংস্কার করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের আশা, খুব শিগগিরই আন্তর্জাতিক মানে পণ্য রফতানির নতুন দুয়ার খুলবে চট্টগ্রাম থেকে।
-B