সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ রক্ষায় ড্রোন কার্যক্রম শুরু

জাফর আলম, কক্সবাজার  Date: 05 February, 2025
সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ রক্ষায় ড্রোন কার্যক্রম শুরু

কক্সবাজারঃ দেশের একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ড্রোন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্বীপের পরিবেশগত পরিবর্তন নজরদারি, অবৈধ কার্যক্রম শনাক্তকরণ ও সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এছাড়াও, দ্বীপের বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণে স্থানীয়দের মধ্যে জনসচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন প্রচার কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। 

পরিবেশবিদরা মনে করছেন, এই উদ্যোগ সেন্ট মার্টিনের নাজুক পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. জমির উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ২ ফেব্রুয়ারি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং খাওয়ার পানির সংকট নিরসন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ। সেন্ট মার্টিন দ্বীপের কোন কোন জায়গায় প্লাস্টিকসহ বর্জ্য পড়ে আছে, ড্রোনের মাধ্যমে তা শনাক্ত করা হবে। 

এ জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দল ড্রোনের মাধ্যমে বর্জ্য শনাক্তকরণের কাজ শুরু করবে। এরপর সেন্ট মার্টিনের সুরক্ষায় করণীয় ঠিক করতে দ্বীপের বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। ফেব্রুয়ারির ১০ অথবা ১২ তারিখ বর্জ্য অপসারণ শুরু হবে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও মানবাধিকারকর্মী নুর মোহাম্মদ বলেন, পর্যটকের সমাগম বন্ধের মধ্যে আগামী ৯ মাসে দ্বীপের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, খাওয়ার পানির সংকট দূরীকরণ ও অতিদরিদ্র লোকজনের জন্য খাদ্যসহায়তা প্রদান এবং নতুন করে যেন কেউ হোটেল-রিসোর্ট তৈরি করতে না পারেন, সেদিকে পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা সরকারের কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। সেন্ট মার্টিনের লোকজনকে পুরোনো পেশায় ফিরিয়ে নেয়া গেলে অভাব দূর হবে।

সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ইউপির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, বন্ধের সময় বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ খাওয়ার পানির সরবরাহব্যবস্থা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে দ্বীপের লোকজনকে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চলছে। দ্বীপে হোটেল-রিসোর্ট আছে ২৩০টি। কোনোটির পরিবেশ ছাড়পত্র নেই।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও মানবাধিকারকর্মী নুর মোহাম্মদ (৫০) বলেন, পর্যটকের সমাগম বন্ধের মধ্যে আগামী সাত-আট মাসে দ্বীপের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, খাওয়ার পানির সংকট দূরীকরণ ও অতিদরিদ্র লোকজনের জন্য খাদ্যসহায়তা প্রদান এবং নতুন করে যেন কেউ হোটেল-রিসোর্ট তৈরি করতে না পারেন, সেদিকে পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা সরকারের কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। সেন্ট মার্টিনের লোকজনকে পুরোনো পেশায় ফিরিয়ে নেওয়া গেলে অভাব দূর হবে।

সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ইউপির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, বন্ধের সময় বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ খাওয়ার পানির সরবরাহব্যবস্থা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে দ্বীপের লোকজনকে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চলছে। দ্বীপে হোটেল-রিসোর্ট আছে ২৩০টি। কোনোটির পরিবেশ ছাড়পত্র নেই।

উল্লেখ্য, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মাসের জন্য দেশের একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে যে কোনো প্রকার পর্যটক যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এসময়ে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলও বন্ধ থাকবে। সরকারি বিধিনিষেধের অংশ হিসেবে এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে স্থানীয় প্রশাসন। 

-B

Share this post



Also on Bangladesh Monitor