দুবাই: পূর্ণ নিরামিষভোজী বা ভেগান যাত্রীদের জন্য স্বস্তির নাম এমিরেটস এয়ারলাইনস। রীতিমতো ভেগান রেস্তোরাঁর মতোই নিরামিষ খাবার পরিবেশনের কারণে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দুবাইভিত্তিক এয়ারলাইনসটি।
জানা গেছে, বছরে ৪ লাখের বেশি ভেগান ডিশ পরিবেশন করে তারা। বিশেষ ভেগান মেনুতে রয়েছে ৩০০টির বেশি পদ, যা বিভিন্ন শ্রেণীর যাত্রীর জন্য সাজানো হয়েছে।
উদ্ভাবনী উপকরণের মধ্যে রয়েছে ডাল থেকে তৈরি ডিমের বিকল্প। এটি স্পাইসি শাকশুকা ও ভেজিটেবল ক্যানেলোনির মতো পদে ব্যবহার হয়।
এছাড়া ফ্রান্সের ডার্ক ভেগান চকোলেট, ইতালির আমন্ড মিল্ক ও জাপানের টোফু ব্যবহার করে ভেগান খাবারগুলোর মান উন্নত করা হয়েছে। ইকোনমি ক্লাসে ক্রেপস, কারি পাফ, চকোলেট মুস কেক এবং প্রিমিয়াম ইকোনমি ক্লাসে ব্রেইজড মাশরুম, জ্যাসমিন রাইস ও চকোলেট টার্টের মতো মেনু পরিবেশন করা হয়।
বিজনেস ক্লাসের যাত্রীদের আপ্যায়ন করা হয় থাই রেড কারি টোফু ও ট্রপিক্যাল কেক দিয়ে। আর প্রথম শ্রেণীর যাত্রীরা উপভোগ করতে পারেন ক্রিমি পলেন্টা কেক, থাইম মাশরুম রাগাউট ও চকোলেট ফন্ডান্ট।
শিশুদের জন্য ভেগান মেনুতে রয়েছে ভেগান পিৎজা, সুইট অ্যান্ড সাওয়ার ভেজিটেবল ও চকোলেট পুডিং। খাবার প্রস্তুতেও যথেষ্ট সচেতন এমিরেটস। আমিরাতের পানির ব্যবহার ছাড়া সবজি উৎপাদনকারী বুস্তানিকা ফার্ম থেকে কীটনাশকমুক্ত শাকসবজি ব্যবহার করে তারা। মোট ১৪০টির বেশি গন্তব্যে ভেগান খাবার পরিবেশিত হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় এ ধরনের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। সহজে হজমযোগ্য হওয়ায় অনেক নন-ভেগান যাত্রীও ফ্লাইটে এ ধরনের খাবার খান।
বিশ্লেষকদের মতে, এমিরেটসের উদ্যোগ শুধু খাবারের মান উন্নত করেনি, বরং যাত্রীদের জন্য পরিবেশবান্ধব ও টেকসই খাদ্যাভ্যাস গ্রহণের একটি সুযোগ তৈরি করেছে।
-B