ইঁদুরের ‘ভয়ে’ তিন দিনের জন্য বাতিল উড়োজাহাজের উড্ডয়ন

মনিটর ডেস্ক রিপোর্ট  Date: 28 February, 2024
ইঁদুরের ‘ভয়ে’ তিন দিনের জন্য বাতিল উড়োজাহাজের উড্ডয়ন

কলম্বো: ইঁদুরের ভয়ে তিন দিনের জন্য একটি উড়োজাহাজের উড্ডয়ন বাতিল করেছে শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইনস।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি পাকিস্তানের লাহোর থেকে ছেড়ে আসা শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইনসের এয়ারবাস এ৩৩০ ফ্লাইটে একটি ইঁদুর দেখা যায়। ইঁদুরটি উড়োজাহাজের গুরুতর কোনও কিছু কামড়িয়ে ক্ষতি করেছে কি না, তা নিশ্চিত হতে অনুসন্ধান চালানো হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উড়োজাহাজ সংস্থাটির একজন কর্মকর্তা বলেন, উড়োজাহাজটি পুনরায় ফ্লাইট শুরু করেছে। তবে উড্ডয়ন বাতিলের কারণে পুরো সময়সূচির ওপর প্রভাব পড়েছে।

ওই কর্মকর্তা জানান, উড়োজাহাজটি কলম্বোতে তিন দিনের জন্য গ্রাউন্ডেড ছিল। ইঁদুরের অস্তিত্ব আছে কি না, তা নিশ্চিত না করে প্লেনটি উড়ানো যায়নি। পরে ইঁদুরটিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থাটি ২০২৩ সালের মার্চের শেষে ১.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি লোকসান করেছিল। সরকারি উড়োজাহাজ সংস্থাটির ২৩টি উড়োজাহাজের আরও তিনটি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গ্রাউন্ডেড রয়েছে। ইঞ্জিনগুলোর জরুরি মেরামতের জন্য সংস্থাটির কাছে কোনও বৈদেশিক মুদ্রা নেই।

এভিয়েশন মন্ত্রী নিমাল সিরিপালা ডি সিলভা সাংবাদিকদের বলেছেন, ইঁদুরটি ঋণের বোঝা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, যা এয়ারলাইনসটির দায়িত্ব নিতে আগ্রহী ‘কয়েকজন বিনিয়োগকারীর’ ভয়ের কারণ হতে পারে। 

ক্ষতি পোষাতে রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থাটি বিক্রির চেষ্টা চালাচ্ছে দেশটির সরকার।

গত বছর শ্রীলঙ্কার ডলারের মজুত রেকর্ড সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যাওয়ার পর দেশটি সাত দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ আর্থিক সংকটে পড়ে। এ ঘটনায় শ্রীলঙ্কা বিদেশি ঋণ খেলাপি হয়, বিক্ষোভের মুখে দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করেন। আর্থিক সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কাকে চার বছরে ২.৯ বিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। 

আইএমএফের মতে, এই ধরনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উদ্যোগগুলো জাতীয় বাজেটের ওপর একটি ভারী বোঝা।

তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষের সঙ্গে বিরোধের কারণে ২০০৮ সালে এমিরেটসের সঙ্গে ব্যবস্থাপনা চুক্তি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত এয়ারলাইনসটি লাভজনক ছিল।

-B

Share this post



Also on Bangladesh Monitor