কক্সবাজারঃ দীর্ঘ ৩৭ দিনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শেষে আগামীকাল (১ নভেম্বর) থেকে রাঙ্গামাটির আর্কষণীয় পর্যটন স্পটগুলো পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে। আর ৫ নভেম্বর থেকে পর্যটকরা খাগড়াছড়িতে সাজেক ভ্রমণ করতে পারবেন। আগামী ১০ নভেম্বর থেকে পর্যটকদের বান্দরবান ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হচ্ছে।
সময়ের ব্যবধানে আলুটিলার রহস্যময় সুরঙ্গ, রিছাং ঝরনা, তৈদুছড়া ঝরনা, হর্টিকালচার সেন্টারসহ খাগড়াছড়ির অরণ্যঘেরা সবুজ প্রকৃতির টানে পর্যটকরা ছুটছেন পাহাড়ের পথে। মাত্র পাঁচ-সাত বছরের ব্যবধানে বদলে গেছে পার্বত্য অঞ্চলের পর্যটন শিল্প। সময়ের ব্যবধানে সমৃদ্ধির পথে হাঁটছে এ শিল্প।
এক মাসেরও বেশি সময়ের নিষেধাজ্ঞায় অনেকটাই থমকে রয়েছে এই তিন পার্বত্য অঞ্চলের অর্থনীতি। নিষেধাজ্ঞার পর থেকে বিপাকে পড়ে এ খাতে সংশ্লিষ্ট হাজারো মানুষ।
সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক রাহুল চাকমা জন জানান, এ মৌসুমে সহিংসতার ঘটনা না ঘটলে তারা ব্যবসা করতে পারতেন ৯ থেকে ১০ কোটি টাকা এবং লাভবান হতে পারতেন ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা।
পুনরায় পর্যটন চালু হওয়ার সিদ্ধান্তে স্বস্তি ফিরেছে স্থানীয় ও ব্যাবসায়ীদের মনে। পর্যটন-সংশ্লিষ্টদের আশা, আসছে পর্যটন মৌসুমে তারা এই ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি এবং রাঙ্গামাটিতে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার জেরে তিন দফায় ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত রাঙ্গামাটির সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়। পরে পাহাড়ের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটকদের ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দেয় স্থানীয় প্রশাসন।
-B