কক্সবাজার: দীর্ঘ ৯ মাস পর আবারও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে। পর্যটকদের জন্য থাকছে রাত্রিযাপনের সুযোগও।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে গেছে ৩টি জাহাজ।
প্রথম এই যাত্রায় ছিলেন ১,১৭৪ জন পর্যটক। তারা ছিলেন খুবই উৎফুল্ল। জাহাজে ছবি তোলা থেকে শুরু করে গান-বাজনা কিংবা প্রকৃতি উপভোগে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তারা। সেন্টমার্টিন ভ্রমণে প্রশাসনের সব নির্দেশনাও মানতে রাজি তারা। এর আগে জেটিঘাটে যাত্রীদের স্বাগত জানান প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
ভোর থেকেই ঘাটে আসা শুরু করেন এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, এমভি বার আউলিয়া ও কেয়ারি সিন্দাবাদ নামের জাহাজগুলোর যাত্রীরা। টিকিট প্রদর্শন করে জাহাজের আসন গ্রহণের আগে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা যাত্রীদের প্রত্যেকের হাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে তুলে দেয়া হয় পরিবেশবান্ধব পানির বোতল।
সরকারি নির্দেশনা মেনে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২ হাজার পর্যটক যেতে পারবেন অনুমতিপ্রাপ্ত জাহাজগুলোতে, পরবর্তী দুই মাস (৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত) থাকছে দ্বীপে রাত্রিযাপনের সুযোগ। যাত্রার ক্ষেত্রে পর্যটকদের বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড থাকবে। কিউআর কোড ছাড়া টিকিট নকল হিসেবে গণ্য হবে।
জাহাজ মালিকদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন,৬টি জাহাজকে প্রশাসন অনুমতি দিয়েছে, যাত্রীর আনুপাতিক হার বিবেচনায় এ দিন ৩টি জাহাজ গেছে।
জোয়ার-ভাটা ও নদীর নাব্যতা বিবেচনায় প্রতিদিনের যাত্রার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। সেন্টমার্টিন থেকে ছেড়ে যাওয়া জাহাজগুলো বিকেলে আবার কক্সবাজারের উদ্দেশে ফিরবে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ জানান, পর্যটকরা যাতে নির্বিঘেœ সেন্টমার্টিন যাত্রা উপভোগ করতে পারেন সে লক্ষ্যে আমাদের সার্বক্ষণিক তৎপরতা অব্যাহত আছে। সমুদ্রপথে জাহাজে এবং সেন্টমার্টিনে আমাদের সদস্যরা নিরাপত্তা দেবে, যেকোনো প্রয়োজনে সহায়তা দিতে আমরা প্রস্তুত।
-B