নয়াদিল্লি: সোমবার (২৭ জানুয়ারি) মাঝ আকাশ থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার মুম্বাইগামী ফ্লাইটের ‘হাইজ্যাক’ অ্যালার্ট ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তবে পরে জানা যায়, এটি ছিল একটি ভুল সিগন্যাল।
দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (ATC)-এ বিপজ্জনক সংকেত পাঠানো হয়, যা হাইজ্যাকের ইঙ্গিত বহন করছিল। এই সংকেতের পর বিমানবন্দরে জরুরি সতর্কতা জারি করা হয় এবং ভারতীয় বিমান বাহিনীকে সতর্ক করা হয়।
আতঙ্ক ও জরুরি প্রতিক্রিয়া
সোমবার রাত ৮:৪০-এ দিল্লি থেকে উড্ডয়ন করা এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট AI2957 মাঝ আকাশেই এই সংকেত পাঠায়। এর পরই দিল্লি ATC মুম্বাই বিমানবন্দরে বিষয়টি জানায়, এবং সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী, সিআইএসএফ, স্থানীয় পুলিশ, সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি ব্যুরো (BCAS) এবং জাতীয় নিরাপত্তা গার্ড (NSG) মোতায়েন করা হয়।
বিমানবন্দরে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে উড়োজাহাজটিকে ‘আইসোলেশন বে’তে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভুল সংকেত ও তদন্ত শুরু
কিছুক্ষণ পর পাইলট জানান, সংকেতটি ‘ভুল’ ছিল। তবে, নিরাপত্তা প্রটোকল অক্ষুণ্ণ ছিল এবং ব্যবস্থা গ্রহণে কোনো ধরনের ঘাটতি ঘটেনি। একজন প্রাক্তন ATC কর্মকর্তা মন্তব্য করেন, “এটি কীভাবে নিশ্চিত করা যাবে যে পাইলট নিজের ইচ্ছায় এই ঘোষণা দিয়েছেন? যদি তাকে কোনও হুমকির মুখে রাখা হয়?”
এদিকে, বেসামরিক উড়োজাহাজ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি তাদের জানানো হয়েছে এবং ডিজিসিএ, সিআইএসএফ, এবং ব্যুরো অফ সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে, ভুল সংকেতের কারণে এই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তবে তদন্তের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে, এই ভুলের পেছনে দায়ী কে—পাইলট, নাকি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের ভুল ব্যাখ্যা?
তিনি আরও বলেন, এখন তদন্ত চলছে এবং যাচাই করা হচ্ছে ভুল সংকেতের প্রকৃত কারণ কী ছিল এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে কী পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে।
যাত্রীদের নিরাপদ অবতরণ
বিমানে ১২৬ জন যাত্রী ছিলেন, যাদের সবাই নিরাপদে মুম্বাই বিমানবন্দরে অবতরণ করেছেন। তবে তখনও বিমানবন্দরে জরুরি সতর্কতা বহাল ছিল এবং সমস্ত নিরাপত্তা পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার এক ঘণ্টা পর যাত্রীদের ডিবোর্ড করার অনুমতি দেয়া হয়।
-B