ঢাকাঃ করোনার নতুন ভ্যারিয়ান্টটি ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টের চেয়েও শক্তিশালী। এটি ওমিক্রনের চেয়ে বেশি দ্রুততার সাথে সংক্রমণের ক্ষমতা রাখে। ফলে উদ্ভবের পর পরই এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে।
তবে ভাইরোলজিস্টরা বলছেন, হতে পারে এর একটু বেশি সংক্রমণের ক্ষমতা রয়েছে তবে এটা মনে রাখতে হবে যে এটা করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টেরই একটি সাব ভ্যারিয়ান্ট। ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্ট যে বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন নতুন ভ্যারিয়ান্টটি তেমনই হবে। ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্ট উদ্ভবের কয়েক মাস পরই সংক্রমণের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়ান্টটি এলএফ.৭, এলএফজি, জেএন.১ এবং এনবি.১.৮.১ হিসেবে পরিচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর কোনো নাম এখনো দেয়নি, এটা এখন পর্যন্ত মনিটরিংয়ে রেখেছে। এটা আরো শক্তিশালী হলে হয়তো নতুন একটি নাম পাওয়া যাবে।
ভাইরোলজিস্টরা বলছেন, এখন পর্যন্ত ওমিক্রনের নতুন এই সাব ভ্যারিয়ান্টটি তেমন শক্তিশালী হয়ে ওঠেনি। এর স্পাইক প্রোটিনে কিছু পরিবর্তন হয়েছে ঠিকই কিন্তু এর সংক্রমণ ক্ষমতা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়েনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনো এটা মনিটরিংয়ের মধ্যে রেখেছে। কতদিন এটা সংক্রমণের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পারবে, তা দেখার বিষয়।
ওমিক্রনই এক সময় গুরুত্বহীন হয়ে গেছে, জানিয়ে ভাইরোলজিস্টরা বলছেন এটি ওমিক্রনেরই একটি সাব ভ্যারিয়ান্ট। এখন পর্যন্ত করোনার বিরুদ্ধে যে টিকা এসেছে, সেই টিকাগুলো এই উপভাইরাসটিকে কাভার করার ক্ষমতা রাখে অর্থাৎ টিকাগুলো এখনো কার্যকর রয়েছে। ফলে এটাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু ঘটেনি।
করোনার ওমিক্রনের নতুন সাব-ভ্যারিয়ান্টটি ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টটির চেয়েও বেশি শক্তিশালী বলছেন ভারতের পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির গবেষকরা। ভারতের ইনস্টিটিউটটি ভাইরাস গবেষণার শীর্ষ প্রতিষ্ঠান।
২০২১ সালের শেষের দিকে শুরু হওয়া কোভিড-১৯-এর তৃতীয় বড় ঢেউয়ের জন্য ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্ট দায়ী ছিল। এরপর থেকে এই ভ্যারিয়ান্টের বিভিন্ন সাব-ভ্যারিয়ান্টের আবির্ভাব ঘটেছে। এগুলো মানুষের মধ্যে দ্রুত সংক্রমণের ক্ষমতাসম্পন্ন ছিল, কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এরা শ্বাসযন্ত্রের ওপরের অংশে সংক্রমণ ঘটায়। সে কারণে মানুষকে খুব বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে নতুন সাব ভ্যারিয়ান্টটি একটু বেশি সংক্রমণ ঘটাচ্ছে বলছেন চিকিৎসকগন।
-B