পটুয়াখালি : বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে দেশের সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটায় ভিড় জমিয়েছিলেন দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটক।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালের শান্ত-স্নিগ্ধ পরিবেশে বছরের প্রথম ভোরের সূর্যোদয় উপভোগ করতে সাগরকন্যা কুয়াকাটার সৈকতে হাজির হন তারা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটার বৈশিষ্ট্য-একই স্থান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়। তাই প্রতি বছরই পহেলা বৈশাখে এখানে থাকে উৎসবের আমেজ।
পর্যটকরা জানান, এখানে তারা সৈকতে দাড়িয়ে সূর্যাস্তের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য অবলোকন করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন দর্শনীয় স্পট ঘুরে দেখেছেন। তাদের মতো দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা এসেছেন সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করতে।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। রয়েছে ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের পাশাপাশি প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য। একই স্থানে দাঁড়িয়ে উপভোগ করা যায় সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মত বিরল দৃশ্য। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, হোটেল-মোটেলের সুবিধা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় কুয়াকাটায় হাজারো পর্যটক ও দর্শনার্থীর সমাগম ঘটেছে।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা টোয়াক’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসন রাজু বলেন, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে পর্যটকের ব্যাপক চাপ রয়েছে। তবে সাপ্তাহিক ছুটি কিংবা বিশেষ দিনগুলোতে পর্যটকের আগমন বেশি হয়।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিওন অনির্বাণ চাকমা জানান, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ তৎপর রয়েছে। এছাড়াও পর্যটন জোনগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করাসহ পুলিশি টহল অব্যাহত রয়েছে।
-B