হজ যাত্রীদের বিমান ভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে আনার আহ্বান জানিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। তবে রাষ্ট্রীয় সরকারি বিমান পরিষেবা সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস জানিয়েছে, চলতি বছর ভাড়া কমানোর সুযোগ নেই।

জানা যায়, গত বুধবার (১৫ মার্চ) হজের বিমান ভাড়া দেড় লাখ টাকা করার সুপারিশ করে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

তবে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিউল আজিম জানান, চলতি বছর হজের বিমান ভাড়া ১ লাখ ৯৮ হাজার থেকে কমানোর সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, বৈঠকে আমিও ছিলাম। সেখানে আলোচনা হয়েছে যে হজ প্যাকেজের কোনো খরচ ও বিমান ভাড়া কমানোর সুযোগ আছে কি না এবং হজযাত্রীদের আরও কিছু কমফোর্ট (ছাড়) দেওয়া যায় কি না। কিন্তু সুনির্দিষ্টভাবে দেড় লাখ বা এ ধরনের কোনো শব্দ উচ্চারণ বা সুপারিশ করা হয়নি।

শফিউল আজিম বলেন, হজের ১৬টি খরচের খাত রয়েছে। তার মধ্যে বিমান ভাড়া মাত্র একটি খাত। এ ছাড়াও বিমান হজের দুই লাখ ১০ হাজার টাকা ভাড়া নির্ধারণ করেছিল। পরে সবার সঙ্গে বৈঠক করে এক লাখ ৯৮ হাজারে নামানো হয়। সে সময় আমরা ডলারের এক্সচেঞ্জ রেট ১০৬ টাকা ধরে ভাড়া নির্ধারণ করেছি। এর মধ্যে যদি ডলারের দাম বাড়ে আমাদের ভাড়া আরও বেড়ে যাওয়ার কথা। তবে আমাদের ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকাই নিতে হবে। হজ ফ্লাইটের পুরো ভাড়া বিমান নিচ্ছে না। এর মধ্যে ১২ হাজার টাকা ট্যাক্স রয়েছে। এগুলো বাদ দিয়ে টিকিট প্রতি বিমান ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে ৮২ হাজার টাকা পাবে।

ভাড়া কমানোর বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা যে ভাড়া ধরেছি তা সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেশনের মাধ্যমে করা হয়েছে। তাছাড়া দুই লাখ ১০ হাজার টাকার ভাড়া কমিয়ে এক লাখ ৯৮ হাজার করা হয়েছে। আর কমানো যায় না। হজের ক্ষেত্রে যাত্রীদের জন্য সর্বোচ্চ কনসিডার করে বিমান।

এই তথ্য জানার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ফের বিমান ভাড়া কমাতে লিখিতভাবে অনুরোধ করা হয়। উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীনের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে জানানো হয় এই অনুরোধ।

-B