কক্সবাজার : পর্যটন শহর কক্সবাজারের বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৮৪ শতাংশ। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটির বাকি কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
সম্প্রসারিত রানওয়ে ও উড়োজাহাজ উড্ডয়ন-অবতরণে সহায়ক বাতি স্থাপন করা হয়েছে বাঁকখালী নদী ও সাগরের মোহনায় মহেশখালী চ্যানেলের মুখে।
নদীর দিকে নদীপ্রস্থের প্রায় ৫৯ শতাংশজুড়ে স্থাপন করা হয়েছে অবকাঠামো। অস্থায়ী জেটিসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে নদীর ফোরশোর বা তীরভূমিতে। এতে কাজ শেষ হওয়ার আগেই আশপাশের প্রতিবেশে প্রকল্পটির বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। নাব্য হারাচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়ন এলাকাসংলগ্ন মহেশখালী চ্যানেলের আড়াই কিলোমিটার অংশ। বড় ধরনের পরিবেশগত ঝুঁকিতে পড়েছে চ্যানেলটি।
এমনকি অদূরে সোনাদিয়া দ্বীপের জনজীবনও হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় চ্যানেলে পাইলিং করে নির্মিত রানওয়ের সহায়ক কাঠামো উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
প্রকল্প বাস্তবায়নে নদী ও পরিবেশের ক্ষতির বিষয়টি অস্বীকার করে কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. ইউনুছ ভূঁইয়া বলেন, ‘সমুদ্রের একটি অংশ ভরাট করে রানওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।
সমুদ্রকে ভূমিতে রূপান্তর করায় আমরা ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অনাপত্তি নিয়েছি। সমুদ্রবক্ষে রানওয়ে নির্মাণে হাইড্রোমরফোলজিক্যাল সমীক্ষা ছাড়াও একাধিক সার্ভে করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ তাদের নিজস্ব মতামত প্রদান করলে তাতে আমাদের কিছু করার নেই। একনেকে পাস হওয়ার সময় সব মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের অনুমতি নিয়েই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ফলে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কোনো ধরনের নিয়ম লঙ্ঘনের সুযোগ নেই।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পে শুরুতে ৬ হাজার ৭৭৫ ফুট থেকে নয় হাজার ফুটে এবং প্রস্থ ১২০ ফুট থেকে ২০০ ফুট করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। বর্তমানে এটির দৈর্ঘ্য ১০ হাজার ৭০০ ফুটে উন্নীত করার কাজ চলছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৩০০ ফুট থাকবে বাঁকখালী নদীর মোহনা ও সমুদ্রের কিছু অংশে।
-B