লোহিত সাগরে দ্বিতীয় প্রাইভেট আইল্যান্ড ক্রুজ সৌদির

-মনিটর অনলাইন Date: 03 May, 2025
লোহিত সাগরে দ্বিতীয় প্রাইভেট আইল্যান্ড ক্রুজ সৌদির

ঢাকাঃ জেদ্দার উত্তর উপকূলে নতুন ব্যক্তি মালিকানাধীন দ্বীপ চালু করছে ক্রুজ সৌদি, যেখানে সরাসরি নোঙর করবে জাহাজ। এ তথ্য জানিয়েছেন ভ্রমণ পরিষেবাদাতা কোম্পানিটির চিফ ডেস্টিনেশন এক্সপেরিয়েন্সেস অফিসার বারবারা বুচেক। 

২০২৭ সালের শেষ নাগাদ উন্মুক্ত হতে যাওয়া দ্বীপটি মূলত উত্তর লোহিত সাগরভিত্তিক ক্রুজ রুটে পরিষেবা দেবে। এর আগে গত ডিসেম্বরে চালু হয়েছে জাবাল আল-সবাইয়া দ্বীপে সাবা বিচ। নতুন দ্বীপ প্রসঙ্গে বারবারা বুচেক জানান, সাবা বিচে যাত্রীদের বোটের মাধ্যমে তীরে নেয়া হয়, আর নতুন এ দ্বীপের জেটিতে জাহাজ সরাসরি নোঙর করতে পারবে। এখানে থাকবে স্থায়ী অবকাঠামো ও উন্নত পরিষেবা। 

তবে ঠিক কী কী সুবিধা থাকবে তা তিনি উল্লেখ করেননি। অন্যদিকে সাবা বিচে একটি ভাসমান পার্ক, রেস্টুরেন্ট, খুচরা দোকান, ভিআইপি সমুদ্রসৈকত, সমুদ্রতীরবর্তী ভিভিআইপি ভিলা, স্পা, শিশা লাউঞ্জ এবং জল ও স্থলভাগভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম রয়েছে। 

বারবারা বুচেক জানান, পরিবেশগত নিয়ম কড়াকড়িভাবে মেনে এ প্রকল্প সম্পন্ন হবে। কারণ লোহিত সাগরকে প্রধান সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করে ক্রুজ সৌদি। কোম্পানিটি আরো তিনটি বড় প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে, যার অন্যতম আল ওয়াজহ বন্দর ক্রুজ লাইনের সঙ্গে যুক্ত করা। 

বন্দরটি সৌদি আরবের ঐতিহ্যবাহী গন্তব্য আলউলা’র প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করবে। এ বন্দর থেকে প্রাকৃতিক সংরক্ষণাগার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান রয়্যাল রিজার্ভে প্রবেশের সুযোগও থাকবে। জেদ্দা ইসলামিক পোর্টের কাছে স্বতন্ত্র একটি ক্রুজ হাব নির্মাণ এবং দাম্মাম টার্মিনালের সম্প্রসারণ করছে ক্রুজ সৌদি। 

২০২১ সালে যাত্রার পর থেকে ক্রুজ সৌদি ১৭টি ভিন্ন ক্রুজ লাইনের মাধ্যমে ১৩০ দেশের প্রায় পাঁচ লাখ যাত্রীকে স্বাগত জানিয়েছে। যেখানে বড়, ছোট, প্রিমিয়াম বা বিলাসবহুল সব ধরনের প্রমোদতরী রয়েছে। সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ক্রুজ সৌদি। কোম্পানিটি ২০৩৫ সালের মধ্যে বার্ষিক ১৩ লাখ যাত্রীকে পরিষেবার দেয়া লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে।

-B

Share this post



Also on Bangladesh Monitor