রিয়াদ: সংস্কারমূলক বিভিন্ন পদক্ষেপের পর সৌদি আরবের পর্যটন খাতে আয় ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। ২০২৩ সালে এ খাত থেকে রেকর্ড সর্বোচ্চ আয় হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা আগের বছরের তুলনায় ৪২ শতাংশেরও বেশি। খবর আরব নিউজ।
প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত থেকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সৌদি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেখানে বলা হয়, পর্যটন থেকে ২০২৩ সালে ১৩ হাজার ৫০০ কোটি রিয়ালের (৩ হাজার ৯৯৫ কোটি ডলার) বেশি আয় করেছে সৌদি আরব, যা দেশটির পর্যটনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আয়। ২০২২ সালের তুলনায় প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৪২ দশমিক ৮ শতাংশ।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় জ্বালানি তেলবহির্ভূত খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে সৌদি আরব। এর অংশ হিসেবে পর্যটনের পাশাপাশি বিনোদন, ক্রীড়া ও প্রযুক্তি বিকাশের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে।
২০২৩ সালে সৌদি আরব ১০ কোটি পর্যটক পেয়েছে, যার বেশির ভাগই স্থানীয়। এর মধ্যে ২ কোটি ৭০ লাখ ছিল আন্তর্জাতিক দর্শনার্থী, যাদের অনেকেই ধর্মীয় ও ব্যবসায়িক কারণে দেশটিতে ভ্রমণ করে।
সৌদি প্রেস এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পর্যটন খাতে ধারাবাহিক উদ্যোগের মাধ্যমে এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর আন্তর্জাতিক পর্যটক চলাচলে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখেছে সৌদি আরব, যা দেশটিকে জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার শীর্ষ তালিকায় স্থান করে দিয়েছে। ইউএনডব্লিউটিওর প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে পর্যটক বৃদ্ধির হার ছিল ৫৬ শতাংশ।
কয়েক বছর ধরে পর্যটন ও আতিথেয়তা খাতে উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সৌদি আরব। চলতি বছরে এ খাত থেকে আয় ৮৫ বিলিয়ন বা ৮ হাজার ৫০০ কোটি ডলারে উন্নীত হওয়ার আশা করছে দেশটির সরকার।
মার্চে এক অনুষ্ঠানে সৌদি আরবের পর্যটনবিষয়ক উপমন্ত্রী প্রিন্সেস হাইফা আল-সৌদ জানান, পর্যটন খাতে বেসরকারি বিনিয়োগের আহ্বানে উল্লেখযোগ্য সাড়া পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে বেসরকারি পর্যায়ে ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ নিশ্চিত হয়েছে। এ বিনিয়োগের ফলে দুই বছরের মধ্যে দেশটিতে হোটেল কক্ষের সংখ্যা বেড়ে দুই লাখে দাঁড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সৌদি আরবের জিডিপিতে পর্যটনের অবদান ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ১০ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।’
অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকরণ কৌশলের অংশ হিসেবে ২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক ১৫ কোটি পর্যটক আকর্ষণের লক্ষ্যে কাজ করছে সৌদি সরকার।
-B