অবৈধ বিদেশীদের বিষয়ে টাস্কফোর্স গঠন

- মনিটর রিপোর্ট  Date: 04 February, 2025
অবৈধ বিদেশীদের বিষয়ে টাস্কফোর্স গঠন

ঢাকাঃ বাংলাদেশে অবৈধভাবে অবস্থানরত বিদেশী নাগরিকদের নিয়ে করণীয় নির্ধারণে টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার। 

১১ সদস্যের টাস্কফোর্সের কমিটিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন) আহ্বায়ক ও একই বিভাগের যুগ্ম সচিবকে (বহিরাগমন-২ অধিশাখা) সদস্য সচিব করা হয়েছে।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে টাস্কফোর্সের কমিটি ও এর কর্মপরিধির তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে অবৈধভাবে অবস্থানরত বিদেশী নাগরিকদের বিষয়ে গৃহীত সার্বিক কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন ও পরামর্শ প্রদান, এ-সংক্রান্ত বিষয়াদির ওপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান ও প্রয়োজনবোধে সুপারিশ প্রণয়ন করতে পারবে টাস্কফোর্স। প্রয়োজনে যেকোনো কর্মকর্তা-ব্যক্তিকে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানাতে পারবে এবং প্রয়োজনে কো-অপ্ট করতে পারবে।’

টাস্কফোর্সের কমিটিতে সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মহাপরিচালক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মহাপরিচালক (কনস্যুলার), জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব (রাজনৈতিক-১ অধিশাখা), পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) উপপুলিশ মহাপরিদর্শক (ইমিগ্রেশন), ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পাসপোর্ট, ভিসা ও ইমিগ্রেশন), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পরিচালক (অপারেশন উইং), প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের পরিচালক (বহিঃসম্পর্ক সংযোগ উইং) ও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের পরিচালক (এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড লিয়াজোঁ ব্যুরো) ।

বাংলাদেশে অবৈধভাবে অবস্থানকারী বিদেশী নাগরিকদের বৈধতা অর্জনের জন্য গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল সরকার। তা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে গত ২৬ ডিসেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে হুঁশিয়ার করা হয়েছিল।

গত বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘কর্মানুমতি ছাড়া বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশী নাগরিকদের বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ’ বিষয়ে এক বৈঠকে জানানো হয়, দেশে বিদেশী নাগরিকের সংখ্যা ১ লাখ ৭ হাজার ১৬৭। যদিও অবৈধভাবে বাংলাদেশে থেকে যাওয়া বিদেশীর সংখ্যা চার-পাঁচ লাখ বলে ধারণা করা হয়। তাদের অনেকে বাংলাদেশে থেকে আয়রোজগার করলেও কর দেন না। তাদের একটি বড় অংশ ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। কারণ ধরা পড়লে জরিমানার অংক খুবই কম, মাত্র ৩০ হাজার টাকা। আবার অনেকে ভিসার শ্রেণী পরিবর্তন করেও বেশি দিন অবস্থানের সুযোগ নিচ্ছেন।

-B

Share this post



Also on Bangladesh Monitor