ঢাকা: দেশে প্রথমবারের মতো কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ইন্টারকম ও ইমার্জেন্সি বাটন স্থাপন করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। যার মাধ্যমে পর্যটকরা কোনো সমস্যায় পড়লে তৎক্ষণাৎ পুলিশকে অভিযোগ জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান ডিআইজি আবু কালাম সিদ্দিক। এ ছাড়া এবার ঈদুল ফিতরে ৩ লাখ পর্যটক যাবেন কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে। ইতিমধ্যে কক্সবাজারের বেশির ভাগ হোটেল বুকিং শেষ হয়ে গেছে।
পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে।
রবিবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর পুরানা পল্টনের ট্যুরিস্ট পুলিশ হেডকেয়ার্টার্সের সভাকক্ষে ‘পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ট্যুরিস্টদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা’ শীর্ষক মতবিনিময়সভায় তিনি এসব কথা জানান।
আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে কক্সবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে ইন্টারকম ও ইর্মাজেন্সি বাটন স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পর্যটকরা যেকোনো সমস্যায় ট্যুরিস্ট পুলিশকে অভিযোগ করতে পারবেন।
কন্ট্রোলরুম থেকে এ বিষয়ে তদারকি করার জন্য কক্সবাজারের কলাতলী, সুগন্ধা, ও লাবনী বিচে কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এসব কন্ট্রোলরুম থেকে ইন্টারকমের মাধ্যমে পর্যটকরা যেকোনো সমস্যায় সহযোগিতা চাইতে পারবেন। সিসিটিভির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করে পুলিশ তাদের সহযোগিতা করবে। কক্সবাজার, পতেঙ্গা, কুয়াকাটা, সুন্দরবন, সাজেক, জাফলংসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশির ভাগ ট্যুরিস্ট পয়েন্টে এই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
পর্যটকরা যাতে নির্বিঘ্নে ভ্রমণ করতে পারেন, সে জন্য ১০৪টি পয়েন্টে ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করছে বলে জানান তিনি।
কক্সবাজারে ২০টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে জানিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান বলেন, ‘রাতে ও দিনে ২৪ ঘণ্টা গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো সিসিটিভির মাধ্যমে কন্ট্রোলরুম থেকে পর্যবেক্ষণ করবে পুলিশ। কক্সবাজার ছাড়াও কুয়াকাটা ও পতেঙ্গায় ১২টি করে নতুন সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এসব সিসিটিভি ক্যামেরায় যেকোনো অপরাধীর চেহারা ও ব্যবহৃত পরিবহন খুব স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা যাবে।’
ডিআইজি আবু কালাম বলেন, ‘ছিনতাই, চাঁদাবাজি, হয়রানি মোকাবেলায় এসব সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।
তা ছাড়া পর্যটকদের কাছ থেকে যেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা না হয়, হোটেল মালিকদের এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। দেশের জিডিপিতে ৪.৪ ভাগ পর্যটন খাত থেকে আসে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে জিডিপির ১০ ভাগ যেন ট্যুটুরিজম খাত থেকে আসে, সেই লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। আগামী ১০ তারিখ থেকে পর্যটকরা আসা-যাওয়া শুরু করবেন। এবার ঈদুল ফিতরে তিন লাখ পর্যটক যাবেন কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে। ইতিমধ্যে কক্সবাজারের বেশির ভাগ হোটেল বুকিং শেষ হয়ে গেছে। আর এ লক্ষ্যে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করা হচ্ছে।’
-B