কক্সবাজার : রমজানের শুরু থেকে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে পৃথিবীর দীর্ঘতম অখন্ডিত সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। ফলে পর্যটক খরায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা।
হোটেলগুলোতে বিশেষ ছাড় দিয়েও পর্যটকদের আকৃষ্ট করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতি। শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল-গেস্টহাউস রিসোর্টসমূহের ৯৫ শতাংশই খালি। হোটেল-রেস্তোরাঁসমূহের অন্তত ৪০ হাজার কর্মচারীও চলে গেছেন ছুটিতে।
অপরদিকে, ক্রেতা না থাকায় বন্ধ রাখা হয়েছে পর্যটন জোনের সব ধরনের খাবার হোটেল ও রেস্তোরা।
কক্সবাজার শহরের কলাতলী ওয়ার্ড বীচের ফ্ল্যাট ব্যবসায়ী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, রোজা শুরু হাওয়ার পর থেকে কক্সবাজার একদম পর্যটক নেই। গত এক সপ্তাহে একটি কক্ষও ভাড়া দিতে পারে নি। তবে সময়ে রুম গুলোর মেরামতের সিন্ধান্ত নিয়েছি।কারণ ঈদের দিন থেকে পর্যটক আসতে শুরু করবে।
পর্যটক না থাকায় এ সময়কে মেরামত,পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সাজ-সজ্জার সময় হিসেবে নিয়েছেন মালিকরা। আগামী মৌসুমের উপযোগী করতে এখন অধিকাংশ হোটেল-মোটেল-কটেজ ও রেস্টুরেন্টে মেরামত, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সাজ-সজ্জার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ডলফিন মোড়ের শাহজাদী রিসোর্টের ৪৫টি কক্ষের মধ্যে ৪৩টি খালি জানিয়ে রিসোর্টের মালিক নাজিম উদ্দিন বলেন, প্রতিবছর রোজার মাসে হোটেলগুলো খালি থাকে। এবারও খালি যাচ্ছে। এখন হোটেলকে নতুন রূপে তৈরির উপযুক্ত সময়। তাই হোটেলের কক্ষগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে ফ্রন্ট ডেস্ক থেকে শুরু করে বাহ্যিক স্থানগুলোকেও নতুন করে সাজানো হচ্ছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, স্বাভাবিক ভাবে রমজান মাসে পর্যটক তেমন থাকে না। এবার কিন্তু পর্যটক শূন্যতা বেশি দেখা যাচ্ছে। ফলে সব ধরনের হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসে বুকিং শূন্য রয়েছে।
শুধু হোটেল-রেস্টুরেন্ট নয়, রমজানের কারণে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসাগুলোও বন্ধ রয়েছে। বিশেষ করে সৈকত এলাকার ঝিনুক, আচার, মাছ ফ্রাই এবং কাপড়ের দোকানগুলো প্রায় বন্ধ রাখা হয়েছে।
-B