শেষ হলো বাণিজ্য মেলা

- মনিটর রিপোর্ট  Date: 01 February, 2025
শেষ হলো বাণিজ্য মেলা

ঢাকাঃ শেষ হলো ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৯তম আসর। গত ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া মাসব্যাপী এই মেলার পর্দা নামলো শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি)। 

শেষ দিন মেলা প্রাঙ্গণে দেখা গেছে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের তীব্র ভিড়। বিশেষ করে গৃহস্থালির নানা পণ্য, খাবার, ইলেকট্রনিকস, ক্রোকারিজসহ সব পণ্যে নানা অফার থাকায় সবাই কিছু না কিছু কিনে বাড়ি ফিরছেন। সকাল থেকেই রাজধানী ও আশপাশের এলাকা থেকে সব শ্রেণি-পেশার ক্রেতা-দর্শনার্থীরা মেলায় আসতে শুরু করেছেন। বিভিন্ন স্টলের মূল্য ছাড়ের সুযোগও নিচ্ছেন তারা।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য মতে, বাণিজ্য মেলার এবারের আসরে ৩৪৩টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও হংকংয়ের ১১টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

স্টল মালিকরা জানান, মেলার শেষ দিকে বেচাকেনা বাড়লেও খুব একটা লাভের মুখ দেখছেন না তারা। এদিকে সময় বাড়ানোর দাবি জানালেও কর্তৃপক্ষ তাতে সায় দেয়নি।

বিক্রয়কর্মীরা জানান, শৈত্যপ্রবাহের কারণে মেলার শুরুতে তেমন দর্শনার্থী আসেনি। শুক্র ও শনিবার ছাড়া সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতেও তেমন সাড়া মেলেনি। তবে দিন যত গড়াতে থাকে ততই মানুষের আগমন বাড়তে থাকে। 

রাজধানীর পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে (বিবিসিএফইসি) মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন ব্যবসায়ীদের সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, এবারের মেলায় ভ্যাট আদায়  হয়েছে সাড়ে ৩ কোটি টাকা।

জনআকাংখা পূরণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশে বিনিয়োগ পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এটিই জনগণ চায়-এটিই জনআকাংখা।

মেলা নিয়ে তিনি বলেন, নামে আন্তর্জাতিক বললেও দুঃখজনকভাবে তেমন কোনো আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণকারী এই মেলায় আসেন না। 

মাসব্যাপী হওয়ায় বিদেশি প্রতিষ্ঠান মেলায় আসতে আগ্রহী না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় দেশের ব্যবসায়ীদের আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য নিজেদের গড়ে তোলারও আহ্বান জানান তিনি।

বাণিজ্য সচিব (রুটিন দায়িত্ব) আবদুর রহিম খানের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান ও ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন।

সমাপনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এবারে মেলায় মোট ৩৪৩টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর-এই সাত দেশের ১১টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।

মেলায় মোট ৩৬১টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন ছিল। মেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের সম্মানার্থে তৈরি করা হয় জুলাই চত্বর ও ছত্রিশ চত্বর। সঙ্গে দেশের তরুণ সমাজকে রফতানি বাণিজ্যে উদ্বুদ্ধকরণে তৈরি করা হয় ইয়ুথ প্যাভিলিয়ন। যা দর্শনার্থীদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়।

মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণিতে মোট ৫১টি স্টল ও প্যাভিলিয়নকে সেরা অংশগ্রহণকারী হিসেবে পুরস্কার দেওয়া হয়।

-B

Share this post



Also on Bangladesh Monitor