এন্ট্রি পারমিট থাকা সত্ত্বেও আমিরাতে প্রবেশের অনুমতি মিলছে না

-মনিটর অনলাইন রিপোর্ট Date: 18 August, 2021
এন্ট্রি পারমিট থাকা সত্ত্বেও আমিরাতে প্রবেশের অনুমতি মিলছে না

ঢাকাঃ সংযুক্ত আরব আমিরাতে নতুন কাজ পাওয়া প্রবাসী শ্রমিকসহ সকল এন্ট্রি পারমিটধারীরা যত শীঘ্র সম্ভব দেশটিতে প্রবেশের অপেক্ষার ক্ষণ গুনছেন। ইউএই আরোপিত ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞার করণে এন্ট্রি পারমিট থাকা সত্ত্বেও অনেকেই বর্তমানে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, নাইজেরিয়া ও উগান্ডায় আটকা পড়ে আছেন। 

রেসিডেন্সি ভিসা উত্তীর্ণ হওয়ার পরও অনেক প্রবাসীর ভিসা আপনা-আপনি নবায়ন হয়েছে, এটা সত্য তবে, বৈধ এন্ট্রি পারমিট ও ভিজিট ভিসাধারীরা দেশটিতে প্রবেশের জন্য সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছেন। 

বৈধ এন্ট্রি পারমিটধারী একজন বাংলাদেশী জানান, “আমি ইতোমধ্যে দুই ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পেয়েছি। এমপ্লয়ার কর্তৃক ইস্যুকৃত বৈধ এমপ্লয়মেন্ট এন্ট্রি পারমিটের মেয়াদ ৮ সেপ্টেম্বর উত্তীর্ণ হতে চলেছে।” 

তিনি আরো বলেন, “GDRFA পোর্টালেও নিবন্ধন করা সম্ভব হচ্ছে না, কারণ এর জন্য প্রয়োজন রেসিডেন্সি নম্বর । যেহেতু আমি প্রথমবার দুবাই যাচ্ছি তাই এমন কোন নম্বর আমার নেই।”
এন্ট্রি পারমিটধারী সকলেরই আশংকা সময়মতো যেতে না পারলে তারা চাকুরীর সুযোগ হারাবেন।
 
টুইটারে করা অনেকের প্রশ্নের জবাবে দুবাই ভিত্তিক এমিরেটস এয়ারলাইনের কক্তব্য হলো, “সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী শুধুমাত্র পাসপোর্টে দুবাই রেসিডেন্স ভিসা থাকলেই দুবাই প্রবেশ করা যাবে। ই-ভিসা ও এন্ট্রি পারমিটধারীরা দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন না।”

স্ত্রী এবং  সন্তানদের এন্ট্রি পারমিট থাকা সত্ত্বেও তারা ইউএই ঢুকতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন  একজন ইউএই প্রবাসী বাংলাদেশী। এপ্রিলে তারা বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছিলেন। 

একজন ট্রাভেল এজেন্ট জানালেন মানবিক  কারনে কদাচিত এন্ট্রি পারমিটধারীরা  ইউএই প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন,তবে এ সংখ্যা খুবই নগণ্য। 
 
তিনি আরো জানান যে এসকল যাত্রীরা দুবাই বা শারজাহ বিমানবন্দরে অবতরনের পর তাদের বৈধ ICA অনুমতির  প্রয়োজন পড়ে, যা পাওয়া  অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ও জটিল । এ কারনে অনেককেই কোন সহায়তা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। 

ফেডারেল আথোরিটি ফর আইডেন্টি এন্ড সিটিজেনশীপ (ICA) অথবা জেনারেল ডাইরেক্টরেট  অব রেসিডেন্স এন্ড ফরেইনারস এফেয়ার্স (GDRFA) কর্তৃক ইস্যুকৃত এন্ট্রি পারমিট থাকলে একজন বিদেশী ইউএই প্রবেশ করার অধিকার লাভ করেন এবং নির্দিষ্ট সময় সেখানে অবস্থান করতে পারেন।  বর্তমানে দেশটিতে অবস্থান করছেন এমন একজন  বিদেশীকেই রেসিডেন্স  ভিসা প্রদান করা হয়।   

এন্ট্রি পারমিটের মেয়াদ এমপ্লয়মেন্টের ক্ষেত্রে  সাধারণত  ২ মাস হয়ে থাকে, তবে তার মেয়াদ বাড়ানো সম্ভব। এই সময়ের মধ্যে স্পন্সর তাঁর এমপ্লয়ীর জন্য রেসিডেন্স ভিসার ব্যবস্থা করতে না পারলে এমপ্লয়ীকে দেশে ফিরে আসতে হয়। 

Share this post



Also on Bangladesh Monitor