আদ্দিস আবাবায় বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

- মনিটর অনলাইন রিপোর্ট Date: 09 August, 2021
আদ্দিস আবাবায় বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

ঢাকাঃ ৮ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহর্ধমিনী বঙ্গমাতা শহিদ শেখ ফজিলাতুননেসা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস, আদ্দিস আবাবায় এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দূতাবাস প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত উক্ত আয়োজনে প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির অতিথিবৃন্দ সপরিবারে এবং দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ এবং তাদের পরিবারবর্গ অংশগ্রহণ করেন। 

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠ এবং দোয়ার মাধ্যমে সূচিত অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবারবর্গ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের সকল শহিদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। এছাড়া, চলমান মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব পরিস্থিতির সংকট থেকে উত্তরণ এবং বাংলাদেশের অব্যাহত সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয়। 

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেসা মুজিবের ৯১-তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মকান্ডের উপরে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন, সংগ্রামে বঙ্গমাতার ভূমিকা আগত দর্শকবৃন্দকে আবেগে আপ্লুত করে। 

প্রামাণ্য চিত্রের পর প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় স্বতঃস্ফূর্ত মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠান। তাঁরা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেসা মুজিব-এর কর্মময় জীবন সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করেন ও স্বরচিত কবিতা পাঠ করে শোনানো হয়। তাঁরা বঙ্গমাতাকে যথার্থই ত্যাগ ও আদর্শের সাহসী প্রতীক হিসেবে অভিহিত করেন। 

উক্ত আয়োজন উপলক্ষে রাষ্ট্রদূত মহোদয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে বঙ্গমাতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বেগম মুজিবের জন্মদিন ‘ক‘ শ্রেণীভুক্ত করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান কারণ এর ফলে প্রতিবছর বঙ্গমাতার জন্মদিন উদ্যাপনের মাধ্যমে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বেগম মুজিবের ত্যাগ ও অবদান বর্তমান ও ভবষ্যিৎ প্রজন্ম অবগত হবে। 

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে বেগম মুজিব ছিলেন যথার্থই একজন রত্নগর্ভা মা। বঙ্গবন্ধুর পিছনে সকল সংঘাতে অবিচল থেকে তিনি তার সুদূঢ় সমর্থন দিয়ে গেছেন ফলে আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম ও অর্জন অনেক বেগবান হয়েছে। তিনি আমাদের জীবনে শুধু নারীদের নয়, পুরুষদের জন্যও এক অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। 
তিনি সকলকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিবের ত্যাগ ও জাতিগঠনে তার উৎসাহে উজ্জ্বীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করার আহবান জানান। 

Share this post



Also on Bangladesh Monitor