করোনাকালীন সময়ে বিদ্ধস্ত দেশের দ্রুত বর্ধনশীল হোটেল-রেস্টুরেন্ট ইন্ডাস্ট্রি

- মনিটর অনলাইন রিপোর্ট Date: 10 August, 2021
করোনাকালীন সময়ে বিদ্ধস্ত দেশের দ্রুত বর্ধনশীল হোটেল-রেস্টুরেন্ট ইন্ডাস্ট্রি

ঢাকাঃ গত এক দশক ধরে দ্রুত বর্ধনশীল দেশের হোটেল-রেস্টুরেন্ট ইন্ডাস্ট্রি, বর্তমানে করনাকালিন সংকটে পরে বিদ্ধস্ত হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মতে, বর্তমানে দেশে রয়েছে ৪,৩৬,২৭৪ টি হোটেল-রেস্টুরেন্ট। যেখানে, এক দশক আগে দেশে ছিল মাত্র ২,৭৫,৩২৪ টি হোটেল-রেস্টুরেন্টে। এই উচ্চ প্রবৃদ্ধির সাথে বেড়েছে এই সেক্টরে চাকুরির সুযোগ। বর্তমানে এই সেক্টরে কর্মরত রয়েছে ২২,৮৩,৫৩২ জন। এক দশক আগে, যেখানে ছিল মাত্র ৯,৩৭,০৮৪ জন। দেশের জিডিপিতে হোটেল রেস্তরার অবদান বেড়েছে আট গুন। ২০০৯-১০ অর্থবছরে, জিডিপিতে এই ইন্ডাস্ট্রির অবদান ছিল ১১,৯৮৬ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে, এই পরিমাণ দাড়াই ৮৭,৯২৬ কোটি টাকা।

তবে, করোনাকালিন সংকটে পরে এই বিশাল সেক্টর এখন নাজেহাল আবস্থায়। অন্য সকল সেক্টরের মত, অনেক হোটেল-রেস্তরাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, গুনছে লোকশান, বেতন কর্তন হচ্ছে, কর্মজীবী-কর্মচারী হারাচ্ছে চাকরি, এবং আরও অনেক সংকট।

বাংলাদেশের রেস্টুরেন্ট বাবসা গত বছর বাজার মূল্য আনুমানিক ৪৫০০ কোটি টাকা অনুমান করা হয়েছিল, এবং ২০২১ সালের মধ্যে দেশের জিডিপিতে এই সেক্টরের অবদান প্রত্যাশা করা হয় ২.১ শতাংশ। তবে করোনাকালিন সময়ে, রেস্টুরেন্টগুলোর একটি বড় অংশ বন্ধ হয়ে যায়, যার মধ্যে অনেকগুলো স্থায়িভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি ৪৫০ কোটি টাকার ফাস্টফুড বাজারটিও করোনার ফলে বিপরজাস্থ।

গত দের বছরে আরোপিত একটির পর একটি লকডাউনের ফলে, দেশের ক্রমবর্ধমান রেস্টুরেন্ট ইন্ডাস্ট্রি বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করে চলেছে।

বাংলাদেশ রেস্টুরেন্ট অওনারস অ্যাসোসিয়েশন একটি চিঠিতে বলে, “সেক্টরটি এখন পতনের দ্বারপ্রান্তে। অন্য সকল সেক্টর এই করনাকালিন সময়ে সরকার কাছ থেকে বিভিন্ন প্রণোদনা পাচ্ছে, অল্প সুদে ও সহজ শর্তে ঋণও। তবে রেস্টুরেন্ট সেক্টরের প্রতি কোন মনোযোগ দিচ্ছে না সরকার।

কোনো ধরনের নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুপস্থিতিতে, রেস্টুরেন্ট সেক্টরের কার্যক্রম পরিচালনা ও পর্যবেক্ষণ করার কেউ নেই। সরকার এখনো রেস্টুরেন্ট খাতকে শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। দেশের স্থানীয় প্রশাসন, এই বিষয়ে কোন দক্ষতা ছাড়াই, ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করছে।

সময় এসেছে নীতি নির্ধারকদের মনোভাব পরিবর্তনের। দেরি না করে, খাতটিকে অবশ্যই শিল্প হিসেবে ঘোষণা করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করতে একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থার নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। 

Share this post



Also on Bangladesh Monitor