প্রথম প্রান্তিকে প্রত্যাশিত আয় হয়নি কেএফসি ও পিৎজা হাটে

মনিটর ডেস্ক রিপোর্ট  Date: 06 May, 2024
প্রথম প্রান্তিকে প্রত্যাশিত আয় হয়নি কেএফসি ও পিৎজা হাটে

বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে পারেনি দুই ফাস্ট ফুড ব্র্যান্ড কেএফসি ও পিৎজা হাট। এ কারণে প্রত্যাশিত আয় থেকে পিছিয়ে গেছে প্যারেন্ট প্রতিষ্ঠান ইয়াম ব্র্যান্ড। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানিটির সাম্প্রতিক আর্থিক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি এমন খবরের পর ইয়ামের শেয়ারদর কমে প্রায় ৪ শতাংশ। 

গত অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ শুরুর পর বয়কটের মুখে পড়েছে মার্কিন ভোক্তাপণ্য জায়ান্টগুলো। এর মধ্যে ম্যাকডোনাল্ডস, স্টারবাকস, বার্গার কিংয়ের মতো প্রতিষ্ঠান প্রত্যাশিত আয় পেতে ব্যর্থ হওয়ার খবর দিয়েছে। 

মার্চে শেষ হওয়া প্রান্তিকে ইয়াম ব্র্যান্ডের পূর্বাভাসকৃত আয় ছিল ১৭১ কোটি ডলার। কিন্তু আয় হয়েছে ১৬০ কোটি। শেয়ারপ্রতি প্রত্যাশিত ১ ডলার ২০ সেন্টের বদলে আয় হয়েছে ১ ডলার ১৫ সেন্ট। 

ইয়াম ব্র্যান্ড আরো জানিয়েছে, প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির নিট আয় হয়েছে ৩১ কোটি ৪০ লাখ ডলার।

এ সময় নিট বিক্রি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ শতাংশ কমে ১৫০ কোটি ডলার হয়েছে। 

ইয়ামের তিনটি বৃহৎ ব্র্যান্ডের মধ্যে শুধু টাকো বেলের সেম স্টোর বিক্রি বেড়েছে। মেক্সিকান ধাঁচের খাবারের এ চেইনে প্রথম প্রান্তিকে পারফরম্যান্স ১ শতাংশ বেড়েছে। টাকো বেলের মার্কিন চেইনে বিক্রি ২ শতাংশ বাড়লেও আন্তর্জাতিক ব্যবসায় পতন হয়েছে ২ শতাংশ। 

অন্যদিকে কেএফসির সেম স্টোর বিক্রি ২ শতাংশ কমেছে। সবচেয়ে বড় পতন হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, আয় সংকুচিত হয়েছে প্রায় ৭ শতাংশ। তবে চীনের কেএফসির পারফরম্যান্স সন্তোষজনক থাকায় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এ সংকোচন ছিল ২ শতাংশ।

এছাড়া পিৎজা হাটের সেম স্টোর বিক্রি ৭ শতাংশ কমেছে। এর কারণ হিসেবে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক উভয় বাজারেই চাহিদা কমে যাওয়া উল্লেখ করেছে এ চেইন রেস্তোরাঁ। একই সঙ্গে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে পিৎজা হাটের আউটলেট কমেছে ৬ শতাংশ। আন্তর্জাতিক বাজারে এ হার ৪ শতাংশ। 

সর্বোপরি আন্তর্জাতিক ব্যবসায় খারাপ সময় যাচ্ছে ইয়াম ব্র্যান্ডের। এর জন্য মধ্যপ্রাচ্যের রেস্তোরাঁগুলোকে আংশিকভাবে দায়ী করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে গাজা যুদ্ধ সম্পর্কিত বয়কটের কারণে ইয়ামের লোকসান কত হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। ইয়াম ব্র্যান্ডের সিইও ডেভিড গিবস সম্প্রতি কোম্পানির অভ্যন্তরীণ বৈঠকে বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের প্রভাবগুলো বিক্ষিপ্ত ও পরিমাপ করা কঠিন।’

অবশ্য ইয়ামের ডিজিটাল ব্যবসা বছরের প্রথম প্রান্তিকে বেশ ভালো অবস্থানে ছিল। কোম্পানিটি বলেছে, এ সময় ডিজিটাল বিক্রি প্রথমবারের মতো ৫০ শতাংশ বেড়েছে। 

এদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার প্রসারিত করার পরিকল্পনা করেছে ইয়াম ব্র্যান্ড। শিগগিরই ৩৫টি রেস্তোরাঁয় এ প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করবে। এছাড়া গত প্রান্তিকে ইয়ামের বৈশ্বিক পদচারণ বেড়েছে ৬ শতাংশ। ওই সময় ৮০৮টি নতুন রেস্তোরাঁ চালু হয়েছে।

-B

Share this post



Also on Bangladesh Monitor