ঢাকাঃ যুক্তরাজ্যে গণপরিবহনকে সমৃদ্ধ করতে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে ‘লাইব্রেরি অন রেইলস’। সকালের কমিউটার লাইনে যুক্ত এই বিশেষ ট্রেনের কোচগুলোতে যাত্রীরা চলাফেরার ফাঁকে বই পড়তে ও বিনিময় করতে পারবেন।
দানকৃত বইয়ে সাজানো কাঠের তাক, আরামদায়ক বেঞ্চ, পড়ার ল্যাম্প ও বড় জানালা এই কোচগুলোকে ভ্রাম্যমাণ চিন্তাশক্তির জায়গায় রূপ দিয়েছে। মোবাইল ফোনে সময় কাটানোর বদলে যাত্রীদেরকে বই পড়তে, শেয়ার্ড জার্নালে নোট লিখতে বা প্রিয় বই অন্যের জন্য রাখতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
বইয়ের সংগ্রহ ক্রমাগত পরিবর্তনশীল—ম্যানচেস্টারে তোলা কোন রহস্য উপন্যাস লন্ডনে পৌঁছাতে পারে, আবার স্কটল্যান্ডের কবিতা বার্মিংহামে ঘুরে বেড়াতে পারে। কোনো চেকআউট বা ফরম নেই; বিশ্বাসভিত্তিক বই বিনিময় প্রথা কার্যকর।
স্বেচ্ছাসেবকরা সাপ্তাহিকভাবে বই সাজান, এবং কিছু ট্রেনে শুক্রবার সকালে ক্ষুদ্র বুক ক্লাবও আয়োজন করা হয়। প্রকল্পটি কমিউটিংকে এক আত্মিক অভিজ্ঞতায় রূপান্তরিত করেছে, যা মনোযোগ, কৌতূহল ও প্রশান্তিকে মূল্য দেয়।
প্রকল্পটি কমিউটিং বা যাতায়াতকে নতুনভাবে চিন্তা করতে সাহায্য করছে। এটি শুধুমাত্র গতানুগতিক যাত্রা নয়, বরং এক আত্মিক অভিজ্ঞতায় রূপান্তরিত হয়েছে—যা মনোযোগ, কৌতূহল এবং প্রশান্তিকে গুরুত্ব দেয়।
পরীক্ষামূলক রুট সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে ‘লাইব্রেরি অন রেইলস’ বর্তমান যুগে মানুষের মধ্যে যোগাযোগের এক ভ্রাম্যমাণ প্রতীকে পরিণত হতে পারে।
-B