ঢাকা: অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সংবলিত উড়োজাহাজ বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ত্রুটিপূর্ণ কি না, তা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে খতিয়ে দেখতে বলবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
মফিদুর রহমান বলেন, ‘এমন তথ্য যদি সত্য হয়, তাহলে বিমানকে বলব, এটা খতিয়ে দেখে আমাদের জানাতে। বিমান যেহেতু বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার অপারেট করে (পরিচালনা), তারা যেন বিষয়টি তদন্ত করে আমাদের অবহিত করে। আমরা উড়োজাহাজ পরিচালনায় ছাড়পত্র দিই, এখন নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা যদি পর্যবেক্ষণ জানাই তা দেখতে হবে। যাত্রীদের নিরাপত্তা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।’
জানা গেছে, বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ত্রুটিপূর্ণ বলে দাবি করেছেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়েরই সাবেক এক প্রকৌশলী। তিনি বিশ্বে চালু থাকা বোয়িংয়ের ৭৮৭ মডেলের উড়োজাহাজ না ওড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। বোয়িংয়ের সাবেক প্রকৌশলী স্যাম সালেহপৌর গত সপ্তাহে এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সব ড্রিমলাইনারকে পরিষেবা থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য এবং উড়োজাহাজের ফিউসিলাজের ছোট ফাঁকাগুলো পরীক্ষা করার আহ্বান জানান।
বোয়িং-৭৭৭ ও বোয়িং-৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝুঁকি বিপর্যয়কর মাত্রায় পৌঁছে গেছে দাবি করে স্যাম সালেহপৌর বলেন, ‘ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ নির্মাণের সময় দ্রুততার আশ্রয় নেওয়া হয়েছিল। ফলে ঝুঁকি বিপর্যয়কর মাত্রায় রয়েছে। আমি কখনই আমার পরিবারের সদস্যদের বোয়িং-৭৮৭-এ উঠতে দেব না।’
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বোয়িংয়ের সাবেক প্রকৌশলী স্যাম সালেহপৌর চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক বিমান সংস্থা ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করেন। এরপরই ফেডারেল অ্যাভিয়েশন তদন্তকাজ শুরু করে। এর আগে ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নতুন ৭৩৭ ম্যাক্স জেটের সব ধরনের উড্ডয়ন দুবার বাতিল করেছিল।
২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে যুক্ত হয় সম্পূর্ণ নতুন চতুর্থ ও শেষ বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করে এবং বার্তা পাঠানো হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
-B