পদ্মা তীরে এক টুকরো ‘সুন্দরবন’ 

-মনিটর রিপোর্ট Date: 12 October, 2025
পদ্মা তীরে এক টুকরো ‘সুন্দরবন’ 

রাজশাহী: রাজশাহী নগরীর পদ্মা তীরে গড়ে ওঠা নদীপাড় ইতোমধ্যে বিনোদনপ্রেমীদের কাছে বিশেষ আকর্ষণের জায়গা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। 

নগরের পাঠানপাড়ায় অবস্থিত লালন শাহ মুক্তমঞ্চের নিচ দিয়ে সম্প্রতি খনন করা একটি খাল এখন রূপ নিচ্ছে ব্যতিক্রমী এক প্রাকৃতিক দৃশ্যপটে।

শুকনো মৌসুমে পদ্মার প্রবাহ অনেক দূরে সরে যায়। সেই সময়ে নগরের শিশু-কিশোরদের নদীর উপস্থিতি অনুভব করাতে এবং নৌকাভ্রমণের সুযোগ করে দিতেই খালটি খনন করা হয়েছিল। বর্ষার পানি দীর্ঘ সময় ধরে রাখায় এখন এই খালটিকে দেখতে অনেকটা সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত কোনো ছোট নদীর মতোই মনে হয়।

খালের দুই পাশে রোপণ করা হয়েছে নানা ধরনের বৃক্ষ। দক্ষিণ পাড়ে নদীর চরে লাগানো গাছগুলো এ বছর বেশ নজরকাড়া হয়ে উঠেছে। উত্তরের পাড়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের লাগানো গাছের সারি জায়গাটিকে দিয়েছে নান্দনিক রূপ। 

বর্ষা শেষে এখন পদ্মা নদীর পানি কমতে শুরু করায় চরের গাছগুলোর গোড়া দেখা যাচ্ছে, আর খালের কাদামাটিতে তৈরি হচ্ছে এক বিশেষ দৃশ্য—যা অনেকটা সুন্দরবনের জোয়ার-ভাটার সময়ে কাদাভরা চিত্রের সঙ্গে মিল খুঁজে পাচ্ছে দর্শনার্থীরা।

শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে লালন শাহ মুক্তমঞ্চের নিচে দাঁড়িয়ে এমন এক দৃশ্য চোখে পড়ে, যা দেখে এলাকাবাসী একে ‘মিনি সুন্দরবন’ নামে ডাকতে শুরু করেছেন।

এখানে ঘুরতে আসা আসা দর্শনার্থীরা বলেন, “আরে, এ তো একদম মিনি সুন্দরবন হয়ে গেছে। পানি কমে গেছে, ঘাটে কাদামাটি—ঠিক যেমন জোয়ারের পরে সুন্দরবনে দেখা যায়।”

মুক্তমঞ্চের পাশেই বসবাস করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক শফিকুল আলম। তিনি বলেন, “জায়গাটা এবার ছোট্ট সুন্দরবনের মতোই দেখাচ্ছে। বিকেলের দিকেই এখন অনেক মানুষ এখানে ঘুরতে আসে।”

দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিবছর বর্ষায় প্রচুর  দর্শনার্থী এখানে আসেন। মুক্তমঞ্চের পাশে বসা এক দর্শনার্থী বললেন, “এটা নদী দেখার এক অপূর্ব জায়গা। এবার খালের ওপাড়ে লাগানো গাছগুলো বেশ বড় হয়েছে। নদীর প্রবাহ না থাকলেও দুই পাশের গাছপালায় সুন্দরবনের একটা অনুভূতি পাওয়া যাচ্ছে।”

-B

Share this post



Also on Bangladesh Monitor