ঢাকাঃ উড়োজাহাজ চলাচলের নিরাপত্তা বাড়াতে ১ নভেম্বর থেকে পাইলটদের ফ্লাইটের সময়সীমা ও রাতের ফ্লাইটের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে ভারত সরকার। কিন্তু এ নিয়ম ১ নভেম্বর কার্যকর হওয়ার আগে যথাযথ পরিকল্পনা না করায় ইন্ডিগো তাদের শীতকালীন ব্যস্ত মৌসুমে ব্যাপক সঙ্কটে পড়েছে।
পাইলটদের বিশ্রামের নতুন কড়া বিধি কার্যকর করার প্রস্তুতিতে ব্যর্থ হওয়ায় ভারতের বৃহত্তম উড়োজাহাজ সংস্থা ইন্ডিগো 'অপারেশনাল সংকটে' পড়েছে। এর ফলে, টানা চতুর্থ দিনের মতো শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দেশজুড়ে ১ হাজারেরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে সব ফ্লাইটই বাতিল হয়েছে। এ ঘটনায় চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন হাজার হাজার যাত্রী।
উড়োজাহাজ চলাচলের নিরাপত্তা বাড়াতে ১ নভেম্বর থেকে পাইলটদের ফ্লাইটের সময়সীমা ও রাতের ফ্লাইটের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে ভারত সরকার। কিন্তু এ নিয়ম ১ নভেম্বর কার্যকর হওয়ার আগে যথাযথ পরিকল্পনা না করায় ইন্ডিগো তাদের শীতকালীন ব্যস্ত মৌসুমে ব্যাপক সঙ্কটে পড়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটি স্বীকার করেছে।
ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্স যাত্রীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে জানান, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরতে ১০–১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। যদিও আগের হিসাবে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল, ফেব্রুয়ারি ১০–এর আগে স্বাভাবিক অপারেশন সম্ভব নয়।
দেশটির বহু বিমানবন্দরে আটকা পড়া যাত্রীরা স্টাফদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করেছেন। সামাজিক মাধ্যমে দেখা গেছে, ক্ষুব্ধ যাত্রীদের 'ইন্ডিগো নিপাত যাক , স্লোগান দিচ্ছে।
সঙ্কট মোকাবেলায় ইন্ডিগোর আবেদনে সাড়া দিয়ে ভারতের বেসামরিক উড়োজাহাজ চলাচল কর্তৃপক্ষ শুক্রবার নতুন কিছু নিয়মে অস্থায়ী ছাড় দেয়। তবে পাইলটদের সাপ্তাহিক বাধ্যতামূলক বিশ্রাম ৪৮ ঘণ্টায় বাড়ানোর বিধান বহাল রাখা হয়েছে।
-B