ঢাকাঃ বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপেছে দেশ, যা বিশেষজ্ঞদের মতে ভবিষ্যতের বড় ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা।
জাতিসংঘ ও গ্লোবাল আর্থকোয়াক মডেলের গবেষণা অনুযায়ী দেশের ভবনগুলোর বেশির ভাগই ভূমিকম্প প্রতিরোধী নয়। নদীর বদ্বীপে তরলীকরণযোগ্য মাটি, বিল্ডিং কোড না মানা এবং অপ্রকৌশলগত কাঠামো ঝুঁকি বাড়িয়েছে।
দেশের সাতটি অঞ্চলের ২.৯ কোটি ভবনের সম্ভাব্য ক্ষতি ৩৪৪ বিলিয়ন ডলার, যা জিডিপির ৭৪ শতাংশ। ঢাকার ৯০ লাখ ভবন প্রতিস্থাপনে ১৪৯ বিলিয়ন, চট্টগ্রামের ৫০ লাখ ভবনে ৬২ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে রেট্রোফিটিং পদ্ধতিতে সুরক্ষিত করার পরামর্শ দিয়েছেন। এটি স্থায়িত্ব বাড়িয়ে দেয় এবং বড় ক্ষতি কমায়। তবে বেশিরভাগ ব্যক্তি পর্যায়ের জন্য ব্যয় বহন কঠিন। তাই সরকারি ও বড় শিল্প ভবনগুলো রেট্রোফিটিং বা প্রতিস্থাপন করা সম্ভব।
এছাড়া সচেতনতা বৃদ্ধি ও ভবনগুলোর কালার কোডিং, উদ্ভাবনী গেম বা শিক্ষামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে প্রস্তুত করা যেতে পারে।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর মধ্যে কিছু ভবন নতুন করে তৈরি করা বা ভেঙে ফেলা প্রয়োজন হলে মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধ্বংসের চেয়ে নিরাপদ করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।
-B