ঢাকাঃ দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ৩ দিনব্যাপী ‘গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো ২০২৫’ শীর্ষক প্রদর্শনীতে ৩ লাখ ১১ হাজার ডলারের ক্রয়াদেশ পেয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
এছাড়া ৩ লাখ ৭২ হাজার ডলারের ক্রয়াদেশের প্রস্তাব পেয়েছেন রফতানিকারকরা।
রাজধানীর পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বুধবার(৩ ডিসেম্বর) এ প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠানে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ হাসান আরিফ এ কথা জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ হাসান আরিফ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইপিবির মহাপরিচালক বেবী রাণী কর্মকার।
এছাড়া গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশননের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, ফার্নিচার মালিক সমিতির চেয়ারম্যান সেলিম এইচ রহমান ও বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) সভাপতি শামীম আহমেদ।
সমাপনী অনুষ্ঠানে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ বলেন, ‘খুব অল্প সময়ের প্রস্তুতিতে সোর্সিং এক্সপোর আয়োজন করতে হয়েছে। ফলে এ বছর অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল। আন্তর্জাতিক মানের এ সোর্সিং এক্সপো ভবিষ্যতে নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হবে।’
অনুষ্ঠানে ৮ খাতের সেরা প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়।
পুরস্কার পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াকরণ খাতে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, তৈরি পোশাক খাতে শিশু পরিবহন, ফার্নিচার ও হোম ডেকর খাতে হাতিল, আইটি ও আইটি সার্ভিস খাতে ডিজি ইনফোটেক, পাট ও পাটজাত পণ্যে প্ল্যানেট কেয়ার, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে এলএফএমইএবি, ফার্মাসিউটিক্যালস খাতে রেডিয়্যান্ট এবং প্লাস্টিক ও কিচেনওয়্যার খাতে বেঙ্গল প্লাস্টিক।
বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের রফতানি সম্ভাবনা তুলে ধরতে ইপিবি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো শুরু হয় গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) ।
এতে বাংলাদেশের ৮টি গুরুত্বপূর্ণ রফতানি খাতের পণ্য প্রদর্শন করা হয়। খাতগুলো হচ্ছে তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, কৃষিজাত পণ্য, প্লাস্টিক ও কিচেনওয়্যার, হোম ডেকর ও ফার্নিচার, ওষুধ ও তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি)।
ইপিবি জানায়, ৩ দিনব্যাপী প্রদর্শনীতে ১২৫টি প্রতিষ্ঠানের ১৬৫টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে।
এ সময় বিশ্বের ১৪টি দেশের শতাধিক আন্তর্জাতিক ক্রেতা এ দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করেন।
এছাড়া বিদেশী ক্রেতারা দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টল ও কারখানা পরিদর্শন করেন। প্রদর্শনীতে ৬টি সেমিনার ও ২৩৮টি বিটুবি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
-B