ঢাকাঃ দেশের এভিয়েশন সেক্টরে বিভিন্নভাবে প্রতারণার কাঠামো তৈরি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
তিনি বলেছেন, আমরা এটা ভাঙতে চাচ্ছি। বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি সেক্টরে যে নৈরাজ্য বিরাজ করছে, বিমানে যে নৈরাজ্য বিরাজ করছে, সেই ব্যাপারে দয়া করে অনুসন্ধান করুন। এমন কিছু করুন, যাতে গরিব মানুষের উপকার হয়। যারা এই গরিব মানুষগুলোকে শুষে খাচ্ছে এবং সর্বস্বান্ত করছে, ৩০ হাজার টাকার টিকেট ১ লাখ টাকায় বিক্রি করছে, সেই বিষয়ে অনুসন্ধান করুন।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, আপনারা অনুসন্ধান করছেন আকিজ এয়ার নিয়ে, যেটার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি তো বলেই দিয়েছি আমার কোম্পানির নাম আকিজ বশির এভিয়েশন। আমার নামে জুলকারনাইন সায়ের, ফেস দ্য পিপলসহ অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। অথচ দেশ থেকে যে হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে, সে ব্যাপারে আপনাদের অনুসন্ধান নেই কেন?
উপদেষ্টা বলেন, টিকিটের মূল্য নিয়ে এখনো যে কিছু লেখা হচ্ছে না, আপনারা দয়া করে এসব বিষয়ে অনুসন্ধান করুন। আমরা আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমরা প্রয়োজনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব।
ইতোমধ্যে ৪৯টি অনলাইন এজেন্সিকে চিঠি দিয়েছি। বাংলাদেশে তিনটি জিডিএস আছে, যারা ভুয়া বুকিং তৈরি করার ক্ষেত্রে মারাত্মক রকম বিপত্তি তৈরি করে। আপনারা জানেন, বিমানে ওঠার পরে দেখা যায় সিট খালি, কিন্তু টিকিট নেই। আপনারা এটা নিয়ে অনুসন্ধান কেন করেন না? এই সেক্টরে (এভিয়েশন) বিভিন্নভাবে প্রতারণার কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। আমরা এটা ভাঙতে চাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমি আমার কাজ করে যাচ্ছি। আমার সময় যতদিন আছে, তার থেকে একদিনের বেশি থাকার আকাঙ্ক্ষা নেই। আমি সবসময় বলি— বউ-বাচ্চা ফেলে যে মরুভূমির তপ্ত রোদে তারা থাকে, তাদের অভিশাপ আছে। যে মানুষটা বউ-বাচ্চা ফেলে বাইরে ৫-৭ বছর থাকে, একটা টিকিট কাটতে গেলে তার কত টাকা চলে যায়! কীভাবে দুর্নীতি হচ্ছে? এই টাকা তো বিমান পায় না। যে লোকটা মরুভূমির তপ্ত রোদে কাজ করছে, তার কথা কেন বলছেন না? কেন এই নেক্সাস ভেঙে দিচ্ছেন না? কেন এসব অনিয়ম নিয়ে আমাদের পর্যাপ্ত তথ্য দিচ্ছেন না? দয়া করে এসব নিয়েও লিখুন।
-B