চীনা ট্রানজিটে ভারতীয়দের হয়রানি নিয়ে দিল্লির উদ্বেগ

-মনিটর অনলাইন Date: 09 December, 2025
চীনা ট্রানজিটে ভারতীয়দের হয়রানি নিয়ে দিল্লির উদ্বেগ

ঢাকাঃ চীনের বিমানবন্দর দিয়ে ট্রানজিট নেওয়া ভারতীয় নাগরিকদের আটক, জিজ্ঞাসাবাদ বা হয়রানির মতো ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বেইজিংয়ের কাছে আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা চেয়েছে ভারত। 

গত মাসে সাংহাই বিমানবন্দরে একজন ভারতীয় নাগরিককে আটক করার পর নয়াদিল্লি এই অবস্থান স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে।

গত ২১ নভেম্বর সাংহাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ভারতীয় পাসপোর্টধারী এক নাগরিককে চীনা নিরাপত্তা বাহিনী আটক করে। কারণ হিসেবে বলা হয়, তিনি অরুণাচল প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেছেন তা  ‘দক্ষিণ তিব্বতের অংশ’ বলে বেইজিং দাবি করে আসছে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই নাগরিককে জাপানে যাওয়ার ফ্লাইটে উঠতে দেওয়া হয়নি এবং তাকে প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে বিমানবন্দরে আটকে রাখা হয়। ভারত অবশ্য চীনের এই ভৌগোলিক দাবি স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে।

ঘটনার পর নয়াদিল্লি কঠোর প্রতিবাদ জানায় এবং এটিকে দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্গঠনের প্রচেষ্টার জন্য ‘হানিকর’ বলে মন্তব্য করে।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সাপ্তাহিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা আশা করি চীনা কর্তৃপক্ষ চীনের বিমানবন্দরে যাতায়াতকারী ভারতীয় নাগরিকদের আলাদাভাবে নিশানা করবে না। ট্রানজিটের সময় ইচ্ছেমতো আটকের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকবে এবং আন্তর্জাতিক উড়োজাহাজ চলাচলবিধি সম্মান করবে।’

জয়সওয়াল ভারতীয়দের উদ্দেশে সতর্ক করে আরও বলেন, চীন বা চীনের মাধ্যমে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ‘যথাযথ সতর্কতা’ অবলম্বন করা উচিত।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি বলে জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম। গত মাসে বেইজিং জানিয়েছিল, দেশটির সব বিমানবন্দর নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী পরিচালিত হয়।

বহু বছরের উত্তেজনার পর সম্প্রতি ভারত–চীন সম্পর্ক উন্নয়নের উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে। উচ্চপর্যায়ের সফর বিনিময় চলছে; এর অংশ হিসেবে গত আগস্টে ৭ বছর পর চীন সফর করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রতিযোগিতার বদলে সহযোগিতার ওপর জোর দেন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় ও ৪ চীনা সেনা নিহত হওয়ার পর দুই দেশের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে পড়ে। প্রায় ৩ হাজার ৮০০ কিলোমিটার অমীমাংসিত সীমান্ত থাকা রাশিয়া ও ভারতের এই প্রতিবেশী রাষ্ট্রদ্বয়ের মধ্যে সেই উত্তেজনা এখনও পুরোপুরি কাটেনি।

-B

Share this post



Also on Bangladesh Monitor