সিঙ্গাপুরের প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস ছাড়িয়েছে

মনিটর অনলাইন  Date: 23 November, 2023
সিঙ্গাপুরের প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস ছাড়িয়েছে

সিঙ্গাপুরের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি তৃতীয় প্রান্তিকে পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে গেছে। ২২ নভেম্বর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে। এর আগে অর্থনীতিবিদরা যুক্তরাষ্ট্র ও চীনসহ প্রধান রফতানি বাজারে চাহিদা হ্রাসের কারণে দেশটির পুরো বছরের পূর্বাভাস সংকুচিত করেন। 

নির্মাণ, পর্যটন ও পরিষেবা খাত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ১ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি জোগান দিয়েছে।

আরও পড়ুন: 'কক্সবাজার এক্সপ্রেস'র টিকিট বিক্রি আজ শুরু

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রত্যাশা ছিল যে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। কিন্তু প্রবৃদ্ধি তার চেয়ে ভালো করেছে। এটা আগের তিন মাসের তুলনায়ও অনেক ভালো।

কর্মকর্তারা জানান যে ২০২৩ সালজুড়ে অর্থনীতির ১ দশমিক শূন্য শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখতে পাচ্ছেন। পূর্বাভাস ছিল শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ১ দশমিক ৫ শতাংশ।

আগস্টে শেষ পূর্বাভাসের পর থেকে মার্কিন অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। এ কারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সতর্ক করেছে, মুদ্রাস্ফীতি, যুদ্ধ ও সুদের হার বৃদ্ধি বছরের বাকি সময়ে চাপ তৈরি করতে পারে। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের প্রবৃদ্ধি মধ্যম অবস্থায় থাকবে বলে প্রক্ষেপণ করা হয়েছে। তবে চাপের কারণে মুদ্রানীতি আরো কঠোর করা হতে পারে।

অনুরূপভাবে চীনের প্রবৃদ্ধি আরো মন্থর হতে পারে। এর পেছনে সম্পত্তি খাতে দুর্বলতা ও অভ্যন্তরীণ ভোগের পাশাপাশি বাহ্যিক চাহিদা হ্রাসকে দায়ী করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, সিঙ্গাপুরের অন্যতম প্রধান রফতানি পণ্য ইলেকট্রনিকস। এর চাহিদা বর্তমানে মন্থর। এটা ভবিষ্যতে হ্রাস পেতে পারে।

ব্যবসায়ীরা জানান, পর্যটক আগমন বাড়লে উড়োজাহাজ চলাচল ও পর্যটন-সম্পর্কিত ব্যবসায় গতি আসবে।

বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে সিঙ্গাপুরের অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি খুব ভালো ছিল না। বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ চাপে ২০২৩ সালের জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস প্রায় ১ দশমিক শূন্য শতাংশ সংকুচিত করা হয়েছিল। আগের পূর্বাভাস ছিল শূন্য দশমিক ৫ থেকে ১ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত।

আগামী বছরে ১ দশমিক শূন্য শতাংশ থেকে ৩ দশমিক শূন্য শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। একই সঙ্গে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও ইসরায়েল-হামাস বা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব বৃদ্ধি পেতে পারে। এসব মিলিয়ে চাহিদার সঙ্গে জোগান ও ভোক্তা উভয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধি ও ব্যবসা মন্থর হতে পারে।

-B

Share this post



Also on Bangladesh Monitor