ঢাকাঃ রোদ, উষ্ণ আবহাওয়া ও স্বচ্ছ জলের জন্য পরিচিত হলেও আবুধাবি উপকূলে নেই সার্ফিং উপযোগী ঢেউ। সে ঘাটতি পূরণ করেছে গত অক্টোবরে চালু হওয়া সার্ফ আবুধাবি।
নয় কোটি ডলারে নির্মিত এ পুলে ঢেউ তুলতে ব্যবহার হয় আরব উপসাগরের ৮কোটি লিটার পানি। যেখানে উপভোগ করা যায় ৬৯০ মিটারের বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ কৃত্রিম ঢেউ। আর গড়ে ১ মিনিটের এ ঢেউ উপভোগে ব্যয় হয় ১৫০ ডলার।
পুলের তলদেশে থাকা বিশেষায়িত নকশা বাথিমেট্রি ঢেউ তৈরিতে সাহায্য করে, এর স্বত্ব পুরোপুরি সার্ফ আবুধাবির হাতে। প্রযুক্তিটির আবিষ্কারক কিংবদন্তি সার্ফার কেলি স্লেটার।
সার্ফ আবুধাবির লক্ষ্য অঞ্চলটির বিলাসবহুল পর্যটন বাজারে দৃঢ়ভাবে স্থান করে নেয়া। এ পুলে প্রতি সেশন মাত্র ৪জন সার্ফার নামতে পারেন। জনপ্রতি খরচ পড়ে ৩ হাজার ৫০০ আমিরাতি দিরহাম বা প্রায় ৯৫০ ডলার। যেখানে তাদের ভাগে বরাদ্দ থাকে ৬টি ঢেউ, এ হিসেবে ঢেউপ্রতি খরচ পড়ে ১৫০ ডলার।
অবশ্য আবুধাবিতে আসা পর্যটকদের অনেকেই পুরো পুল ভাড়া নিতে কার্পণ্য করেন না, এক্ষেত্রে ৯০ মিনিটের স্লটে খরচ করতে হয় ৫ হাজার ৪৫০ ডলার। এখানে গ্রাহকরা কোচিং ও ভিডিও রিভিউর সুবিধা পান। সার্ফিং এখন আলাদা শিল্প হিসেবে বিবেচিত।
গত বছর বৈশ্বিক সার্ফ পর্যটন শিল্পের আয় ছিল ৬ হাজার ৮৩০ কোটি ডলার। পূর্বাভাস অনুসারে, বাজারটি ২০৩০ সাল নাগাদ ৯ হাজার ৫৯৩ কোটি ডলার ছুঁবে। তবে সমুদ্রের অপ্রত্যাশিত ঢেউয়ে আমোদ পাওয়ার বদলে কৃত্রিম ঢেউয়ে ধনীরা অর্থ ঢালবেন কিনা সেটাও প্রশ্ন। বিলাসবহুল সার্ফ পরিষেবা খুঁজে পেতে গ্রাহককে সাহায্য করে মাহালো সার্ফ এক্সপেরিয়েন্স।
প্রতিষ্ঠানটির সিইও ফেলিপে বোনেলা দাল পিয়েরো জানান, তাদের চারদিনের প্যাকেজে প্রারম্ভিক খরচ পড়ে দেড় লাখ ডলার। কারণ ধনী গ্রাহক অর্থ খরচে রাজি কিন্তু ব্যর্থ হতে রাজি নন। অনেক ধনকুবের সমুদ্রের বদলে শৌখিন ওয়েভ পুলে নামতে পছন্দ করেন, যেখানে খরচ আকাশছোঁয়া। যেমন ব্রাজিলের সাও পাওলো সার্ফ ক্লাবের সদস্যপদ পেতে লাগে প্রায় ১ লাখ ৭৪ হাজার ডলার।
তবে দাল পিয়েরো মনে করেন, পুল কোনোদিন সমুদ্রের বিকল্প নয়। কারণ সমুদ্রের ওপর কারো নিয়ন্ত্রণ নেই, আর সেটাই সার্ফিংয়ের অভিজ্ঞতার আসল সৌন্দর্য।
-B