বাংলাদেশের সঙ্গে সামুদ্রিক বাণিজ্য রুট চালুর প্রস্তাব থাই রাষ্ট্রদূতের

-মনিটর রিপোর্ট Date: 08 December, 2025
বাংলাদেশের সঙ্গে সামুদ্রিক বাণিজ্য রুট চালুর প্রস্তাব থাই রাষ্ট্রদূতের

ঢাকা: বাণিজ্যিক পরিবহনে ব্যয় ও সময় কমিয়ে আনতে থাইল্যান্ডের রানং সমুদ্র বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সামুদ্রিক বাণিজ্য রুট চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন ঢাকাস্থ থাই রাষ্ট্রদূত থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি।

রবিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে এক বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে নতুন সামুদ্রিক রুট চালুর পাশাপাশি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

থাই রাষ্ট্রদূত বলেন, 'বিদ্যমান নৌপরিবহন ব্যবস্থায় থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে পণ্য আসতে ১৪-১৫ দিন সময় লাগে। তবে থাইল্যান্ডের রানং সমুদ্র বন্দর এবং চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি সামুদ্রিক বাণিজ্য রুট চালু করা গেলে পণ্য পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র ৪ থেকে ৭ দিন।'

তিনি আরও বলেন, রানং বন্দর ব্যবহার করলে একইভাবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকেও পণ্যবাহী জাহাজ দ্রুততম সময়ে থাইল্যান্ডসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর বন্দরে পৌঁছাতে সক্ষম হবে। দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে এ ধরনের অবকাঠামোগত সংযোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, 'সমুদ্রপথ ও নৌপরিবহনের মাধ্যমে লজিস্টিক সংযোগ আরও শক্তিশালী করতে পারলে দুই দেশই উপকৃত হবে। এছাড়া মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) দুই দেশের বাণিজ্য ভলিউম বাড়াতে সাহায্য করবে।'

বিদেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, 'বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে। এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের ওষুধ, চিংড়ি, ফার্নিচার ও পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন। এ ধরনের বিনিয়োগ উভয় দেশের জন্যই লাভজনক সুযোগ তৈরি করবে।'

বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান এবং থাই দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সিলরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

-B

Share this post



Also on Bangladesh Monitor