ঢাকা : অনেকে শৈশব থেকে পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখে, কিন্তু পর্যাপ্ত অর্থ বা সুযোগের অভাবে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী তা পূরণ করতে পারেন না। এ পরিস্থিতিতে দেশের বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স পদক্ষেপ নিয়েছে মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাইলট হিসেবে গড়ে তোলার জন্য।
২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করা ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ বহরে বর্তমানে ২৫টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে নতুন এয়ারক্রাফট সংযোজনের আগে পাইলট নিয়োগের বিষয়টি কোম্পানির পরিকল্পনার অংশ।
২০২২ সালে ইউএস-বাংলা স্টুডেন্ট পাইলট ও এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের উদ্যোগ নেয়। ইতিমধ্যে ২২ জন প্রশিক্ষণার্থী যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লোরিডার এপিক ফ্লাইট একাডেমীতে ফ্লাইট ট্রেনিং কোর্স শেষ করে পাইলট হিসেবে যোগ দিয়েছেন। আরও ৫ জন প্রশিক্ষণার্থী খুব শীঘ্রই যোগ দেবেন এবং ৭ জন অপেক্ষমান। সফল প্রশিক্ষণার্থীরা ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স (এফএএ সিপিএল) প্রাপ্ত হন।
আবেদন যোগ্যতা: বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা এসএসসি ও এইচএসসি-তে জিপিএ ৫.০০ এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে ন্যূনতম শর্ত পূরণ করতে হবে। বয়স ১৭–২২ বছর, উচ্চতা পুরুষ ১৬৮ সেন্টিমিটার, নারী ১৬৪ সেন্টিমিটার, এবং সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের ক্লাস-১ মেডিকেল সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশী হতে হবে, অবিবাহিত থাকতে হবে এবং স্বাস্থ্যগত ও নৈতিক মানদণ্ড পূরণ করতে হবে। নির্বাচিত ক্যাডেট পাইলটরা ইউএস-বাংলার তত্ত্বাবধানে বিশ্বের যেকোনো দেশে ফ্লাইট ট্রেনিং করবে এবং সফল হলে ফার্স্ট অফিসার হিসেবে যোগদান করবেন।
-B