কক্সবাজারঃ নৌ-পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘দেশের সবচেয়ে বড় পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় রয়েছে।
হোটেল-মোটেলের বর্জ্য সরাসরি সমুদ্র ও নদীতে পড়ে পরিবেশ দূষণ করছে। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হলেও হোটেল কর্তৃপক্ষ অর্থ পরিশোধে সক্ষম হওয়ায় পুনরায় একই অপরাধ করছে।’
শনিবার (৩০ আগস্ট) সকালে কক্সবাজারে হিলটপ সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বাঁকখালী নদী দখল ও দূষণমুক্তকরণ বিষয়ক বিশেষ সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, ‘শুধু জরিমানা নয়, একটা দুটো করে হোটেল বন্ধ করে দিলে কর্তৃপক্ষ সচেতন হবে। কক্সবাজারে পরিচ্ছন্নতা ফিরে আসবে।’
হোটেল-মোটেল মালিকদের সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘পরিবেশ দূষণ রোধে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ড. সাখাওয়াত হোসেন জানান, হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাঁকখালী নদী দখলমুক্ত করার কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে। রায় হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এ উদ্যোগ শুরু হবে। পাশাপাশি নদীর সৌন্দর্য রক্ষায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নদীর পাশে স্থায়ীভাবে ড্রেজার বেইজ স্থাপন এবং বাঁকখালীকে কেন্দ্র করে একটি আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
-B