চট্টগ্রাম: জেলার পাহাড় ঘেরা অঞ্চলে অবস্থিত ‘হাতির বাংলো’ শহরের ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রায় ১৩১ বছর আগে ব্রিটিশ শাসনামলে নির্মিত এই ডুপ্লেক্স বাংলোটি হাতির আকারের নকশা ও অনন্য স্থাপত্যশৈলীর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত।
বাংলোর চারপাশে সবুজ গাছপালা, শান্ত পরিবেশ ও পাহাড়ি সৌন্দর্য এটিকে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে। স্থানীয় লোককথা অনুযায়ী, ব্রিটিশরা এখানে হাতি প্রশিক্ষণের ঘাঁটি রাখতেন, আর তাই এটি ‘হাতির বাংলো’ নামে পরিচিতি পায়।
১৮৯৩ সালে চট্টগ্রাম থেকে ফেনী পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণকাজের সময় প্রকৌশলী ব্রাউনজারের তত্ত্বাবধানে রেল কর্মকর্তাদের থাকার জন্য বাংলোটি তৈরি করা হয়। লাল ইটের দেয়াল, বড় বারান্দা, উঁচু ছাদ এবং প্রশস্ত ঘরগুলো ব্রিটিশ স্থাপত্য ও স্থানীয় নকশার মেলবন্ধন প্রকাশ করে।
বর্তমানে বাংলোটি ভেঙে-ধসে অবহেলিত অবস্থায়। দরজা-জানালা ভাঙা, দেয়ালে শ্যাওলা, চারপাশে শুকনো পাতা ও ময়লা জমে আছে। তবু ঊনিশ শতকের মাঝামাঝি নির্মিত এই বাংলো এখনও দৃঢ় অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।
হাতির বাংলো শুধু একটি ভবন নয়; এটি চট্টগ্রামের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের জীবন্ত সাক্ষী। বছরের যে কোনো সময় ভ্রমণ উপযোগী এই স্থাপনায় বর্ষাকালে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পায়। তাই এর সংরক্ষণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে গুরুত্ব তুলে ধরা এখন সময়ের দাবি।
-B