ঢাকাঃ যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকির লুইসভিল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টেকঅফের সময় একটি ইউপিএস কার্গো উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে।
এসময় উড়োজাহাজটি প্রায় ৩৮ হাজার গ্যালন জ্বালানি বহন করছিল, যা বিস্ফোরণের পর আশেপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৩জন।
দেশটির ফেডারেল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ (এফএএ) জানায়, মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর)স্থানীয় সময় বিকেল সোয়া ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ইউপিএস ফ্লাইট ২৯৭৬ কার্গো উড়োজাহাজটি লুইসভিল মোহাম্মদ আলী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হাওয়াইয়ের হনলুলুর উদ্দেশে উড়াল দিয়েছিল।
হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বিশিয়ার বলেন, কার্গো উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১১ জন। তাঁদের কয়েকজনের জখম বেশ গুরুতর। তাই নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরে তিনি নিহতের সংখ্যা বাড়িয়ে ৭জনের ঘোষণা দেন।
ইউপিএস জানিয়েছে, এতে ৩জন ক্রু ছিলেন - তাদের কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি।
কার্গো উড়োজাহাজটি ম্যাকডোনেল ডগলাস এমডি–১১ মডেলের একটি আকাশযান ছিল, যা ৩৪ বছরের পুরোনো। ১৯৯১ সালে থাই এয়ারওয়েজের হয়ে এটির প্রথম ব্যবহার শুরু হয়। ২০০৬ সালে এটিকে ইউপিএস কার্গো হিসেবে রূপান্তর করা হয়।
আকাশপথে পণ্য পরিবহনের মার্কিন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ইউপিএস। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বিধ্বস্ত কার্গো উড়োজাহাজটিতে ৩জন ক্রু ছিলেন। তাঁদের সর্বশেষ পরিণতি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
দুর্ঘটনার পরপর লুইসভিল মোহাম্মদ আলী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সব ধরনের উড়োজাহাজ ওঠানামা সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, বিধ্বস্ত কার্গো উড়োজাহাজটিতে ৩৮ হাজার গ্যালন বা প্রায় ১ লাখ ৪৪ হাজার লিটার জ্বালানি ছিল। এর সম্মিলিত ওজন প্রায় এক লাখ কেজির মতো।
বিপুল পরিমাণ জ্বালানি থাকার কারণে বিধ্বস্তের পর এখনো আগুন জ্বলছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে কাজ করছেন। তাঁরা জনগণকে দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশে না যেতে অনুরোধ করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে লুইসভিলের মেয়র ক্রেইগ গ্রিনবার্গ বলেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য একটি ট্র্যাজেডি। আমরা এটা কখনোই ভুলতে পারব না।’
-B