কক্সবাজারঃ দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ ও পর্যটন স্পট সেন্ট মার্টিনের পর্যটন বর্তমানে মারাত্মক সংকটে।
নানা বিধিনিষেধ এবং জাহাজ চলাচলের সীমাবদ্ধতার কারণে দ্বীপটির সম্ভাবনাময় পর্যটন সেক্টরের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে।
গত মৌসুমে জাহাজ মালিক ও হোটেল ব্যবসায়ীসহ পর্যটন সংশ্লিষ্টরা প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েন।
দীর্ঘ ৯ মাস পর চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য খুললেও জাহাজ না চলার কারণে এবং পর্যটকদের রাতযাপনের সুযোগ না থাকায় আগ্রহ হারাচ্ছেন ভ্রমণকারীরা।
ফলে নভেম্বর মাসে পর্যটকশূন্য অবস্থার কারণে ব্যবসায়ীরা আরও বড় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি মৌসুমে ২ মাস ব্যবসা হলেও পরবর্তী মৌসুম থেকে অনেকেই ব্যবসা বন্ধ করার কথা ভাবছেন। এতে দ্বীপের কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের একজন কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে বলেন, সেন্ট মার্টিন খোলার পর জাহাজ নুনিয়ারছড়া থেকে ছাড়ছে, যেখানে মাঝে মাঝে ১০-১২ ঘণ্টা জাহাজ আটকে থাকে। ইনানী থেকে ছাড়লে পর্যটকরা বেশি সময় দ্বীপে থাকতে পারতেন। সরকার নির্দেশনা অনুযায়ী মাত্র ২ হাজার পর্যটকই একসঙ্গে থাকতে পারবে, যা জাহাজের খরচও তুলতে পারছে না।
সেন্ট মার্টিনের ২০০টির বেশি হোটেল ও রিসোর্ট খালি পড়ে রয়েছে জানিয়ে এক হোটেল কর্মকর্তা বলেন, পর্যটক না থাকায় বুকিং নেই, এবং গত মৌসুমে ২ মাসের ব্যবসায় পুরো বছরের স্টাফ বেতন দেওয়া সম্ভব হয়নি।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা উন্নয়ন জোটের চেয়ারম্যান শিবলুল আজম কোরেশি বলেন, “গত মৌসুমে কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। নভেম্বর মাসে পর্যটক না গেলে আরও ১০০ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এই অবস্থায় আগামী মৌসুমে অনেকেই ব্যবসা গুটিয়ে নেবেন।”
দ্বীপের পর্যটন বর্তমানে ‘ধুঁকে ধুঁকে মরার’ অবস্থায়, যা দ্রুত সমাধানের প্রয়োজন।
-B